নতুন মোড় নিয়েছে ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ। একদল ইউক্রেনপন্থি রুশ বিদ্রোহী রুশ সেনারা রাশিয়ার অভ্যন্তরে ঢুকে দুটি গ্রাম দখল করে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। তবে কিয়েভ বলছে, এসব অভিযানে তাদের কোনো অংশগ্রহণ নেই।
সোমবার এই গোষ্ঠী দুটি দাবি করেছে তারা বেলেগরদ অঞ্চলের দুটি গ্রাম দখল করে নিয়েছে। খবর পলিটিকো ও টিআরটি ওয়ার্ল্ডের।
পলিটিকোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যে দুটি কিয়েভপন্থি সেনাদল রাশিয়ার বেলেগরদ অঞ্চলে ঢুকে পড়েছে সেগুলো হলো- ‘লিজিয়ন অব ফ্রি রাশিয়া’ এবং ‘রাশিয়া ভলান্টিয়ার কর্পস’।
লিজিয়ন অব ফ্রি রাশিয়া এক টুইটে বলেছে, ‘লিজিয়ন অব ফ্রি রাশিয়া এবং রাশিয়া ভলান্টিয়ার কর্পস বেলেগরদ ওব্লাস্তের কোজিনকা গ্রাম সম্পূর্ণরূপে দখল করে নিয়েছে। আরেকটি অগ্রবর্তী দল গ্রেইভরন নামের এলাকায় ঢুকে পড়েছে। তারা এগিয়ে চলছে। রাশিয়া মুক্ত হবেই।’
টুইটে দল দুটি দাবি করেছে, কোজিনকার পাশাপাশি গোরা-পদল নামে ইউক্রেন সীমান্তবর্তী আরেকটি গ্রামও তারা দখল করে নিয়েছে।
স্থানীয় গণমাধ্যমগুলোও নিজ নিজ টেলিগ্রাম চ্যানেলে জানিয়েছে, গ্রেইভরনসহ সীমান্তবর্তী বেশ কয়েকটি গ্রামে ব্যাপক যুদ্ধের খবর পাওয়া গেছে। উল্লেখ্য, গ্রেইভরনের কাছে রাশিয়ার একটি সেনাঘাঁটি রয়েছে।
এর আগে, বেলেগরদ অঞ্চলের গভর্নর ভ্যাচেস্লাভ গ্ল্যাদকভ জানিয়েছেন, ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীর ‘অন্তর্ঘাতী’ সদস্যরা রাশিয়া বেলেগরদের গ্রেইভরন জেলায় প্রবেশ করেছে।
যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে নিজস্ব চ্যানেলে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে গভর্নর ভ্যাচেস্লাভ গ্ল্যাদকভ বলেছিলেন, ‘রাশিয়ান ফেডারেশনের সশস্ত্র বাহিনী দেশের বর্ডার সার্ভিস, ন্যাশনাল গার্ড এবং গোয়েন্দা সংস্থা এফএসবি বা ফেডারেল সিকিউরিটি সার্ভিসের সহায়তায় শত্রুদের উৎখাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে।’
পরে ভ্যাচেস্লাভ গ্ল্যাদকভ আরও জানান, এরই মধ্যে এই অঞ্চলে ‘সন্ত্রাসবাদবিরোধী অভিযান শুরু হয়ে গেছে।’
এদিকে, ইউক্রেনীয় সশস্ত্রবাহিনীর গোয়েন্দা বিভাগ জানিয়েছে, সশস্ত্র গোষ্ঠী দুটি রাশিয়ার নাগরিকদের নিয়েই গঠিত। তাদের লক্ষ্য হলো সীমান্তে একটি বেসামরিক এলাকা গড়ে তোলা।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের বিশেষ সহযোগী মিখাইলো পদোলিয়াক বলেছেন, এই অভিযানের সঙ্গে ইউক্রেনের কোনো সম্পর্ক নেই। এ বিষয়ে ইউক্রেনের করার কিছু নেই। এক টুইটে তিনি বলেন, ‘বেলেগরদ অঞ্চলে কি হচ্ছে ইউক্রেন তা আগ্রহ নিয়েই পর্যবেক্ষণ করছে কিন্তু বিষয়টি নিয়ে আমাদের আসলে করার কিছু নেই।’