এবারের ঈদযাত্রায় ঢাকা শহরের লক্কড়-ঝক্কড় কোনো বাস রাজধানীর বাইরে রিজার্ভে না পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে পরিবহন মালিক সমিতি। আজ মঙ্গলবার ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির ‘ঈদুল আজহার প্রস্তুতি ও করণীয়’ শীর্ষক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। রাজধানীর বাস মালিকদের এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া ঈদ বকশিশ, শ্রমিকদের বেকার ভাতার নামে অতিরিক্ত টাকা এবং নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে বেশি আদায় করা যাবে না বলেও জানিয়েছে তাঁরা।
রাজধানীর রমনার কাজী নজরুল ইসলাম অ্যাভিনিউয়ে অনুষ্ঠিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্যাহ। সভায় ঢাকার সব রুটের পরিবহন মালিক সমিতি ও ১২০টি পরিবহন কোম্পানির এমডি, সব টার্মিনালের (গাবতলী ছাড়া) মালিক সমিতি ও শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা অংশ নেন।
এর আগে গত ১৮ জুন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) এক আলোচনা সভায় লক্কড়–ঝক্কড় বাস ঢাকার বাইরে না পাঠানোর জন্য বলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
আগামী ২৯ জুন দেশে মুসলমানদের দ্বিতীয় বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা উদ্যাপিত হবে। ঈদুল আজহায় ঘরমুখো মানুষের যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সভায় সর্বসম্মতিক্রমে পাঁচটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
ঈদযাত্রায় মালিক সমিতির ৫ সিদ্ধান্ত
১. ঢাকা শহরের লক্কড়-ঝক্কড় ধরনের কোনো গাড়ি ঢাকার বাইরে রিজার্ভে পাঠানো যাবে না।
২. ঈদ বকশিশ ও শ্রমিকদের বেকার ভাতার নামে অতিরিক্ত টাকা আদায় করা যাবে না।
৩. যাত্রীদের কাছ থেকে সরকার নির্ধারিত ভাড়ার অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা যাবে না।
৪. বৈধ লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চালানো এবং চালকের অনুপস্থিতিতে হেলপার দিয়ে গাড়ি চালানো যাবে না।
৫. বাস টার্মিনালে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার লক্ষ্যে সরকারের পাশাপাশি প্রতিটি টার্মিনালে (বিশেষ করে সায়েদাবাদ ও মহাখালী) মালিক-শ্রমিকদের সমন্বয়ে ‘ভিজিলেন্স টিম’ গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ টিমের কর্মকর্তারা স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করে টার্মিনালে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।
আগামী ২৯ জুন দেশে মুসলমানদের দ্বিতীয় বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা উদ্যাপিত হবে। আগে ২৮, ২৯ ও ৩০ জুন (বুধ, বৃহস্পতি ও শুক্রবার) সরকারি ছুটি নির্ধারিত ছিল। একদিন বাড়ায় ছুটি শুরু হবে ২৭ জুন (মঙ্গলবার) থেকে। এরপর ১ জুলাই (শনিবার) সাপ্তাহিক ছুটি। এ ক্ষেত্রে ২৭ জুন থেকে ১ জুলাই পর্যন্ত টানা পাঁচ দিনের ছুটি পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা।