আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, সরকার জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সুপারিশ গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে। জাতীয় মানবাধিকার কমিশন সৃষ্টির পর থেকে স্বাধীনভাবে কাজ করে যাচ্ছে। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে আরও শক্তিশালী ও গতিশীল করতে সরকার সর্বদা সচেষ্ট। কমিশন যাতে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে সে ব্যাপারে সরকার অনুকূল পরিবেশ বজায় রেখেছে।
আজ বুধবার জাতীয় সংসদে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী এসব কথা বলেন। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।
আনিসুল হক বলেন, ‘আমাদের দেশে সরকার মানবাধিকারের প্রতি সজাগ দৃষ্টি দেওয়ার কারণে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ব্যাপক সাড়া পড়েছে এবং সরকারের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে।’
ফেনী-২ আসনের নিজাম উদ্দিন হাজারীর প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী জানান, যৌতুক নিরোধ আইনের অধীনে দেশের বিভিন্ন আদালতে (৩১, ডিসেম্বর ২০২২ পর্যন্ত) ৪১ হাজার ৬৯৩টি মামলা রয়েছে।
মন্ত্রীর তথ্য অনুযায়ী, ঢাকা জেলায় যৌতুকের মামলার সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। এখানে তিন হাজার ৮৭৯টি মামলা রয়েছে। অপরদিকে সবচেয়ে কম মামলা রয়েছে রাঙামাটি জেলায়। এ জেলায় ১৬টি মামলা রয়েছে।
সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দা রুবিনা আক্তারের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের চাহিদার প্রেক্ষিতে ২০১৯ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত দুই লাখ ৮টি পদ সৃষ্টির সম্মতি দেওয়া হয়েছে। পদ সৃষ্টির প্রয়োজনীয় সব আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগ থেকে সরকারি আদেশ (জি. ও) জারি করা হয়। পরবর্তীতে শূন্য পদে নিয়োগ দেওয়া হয়।
পিএসসির সুপারিশের প্রেক্ষিতে সরকারের চলতি মেয়াদে বিভিন্ন ক্যাডার পদে ১৬ হাজার ২৯ জন নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
শূন্য পদে নিয়োগ চলমান প্রক্রিয়া উল্লেখ করে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী জানান, বর্তমানে সরকারের প্রায় সকল মন্ত্রণালয় ও বিভাগের নিয়োগ প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।