শোক-ভালোবাসায় ফায়ারম্যান ইমরানকে বিদায়


, আপডেট করা হয়েছে : 07-06-2022

শোক-ভালোবাসায় ফায়ারম্যান ইমরানকে বিদায়

সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণে নিহত ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সদস্য ইমরান হোসেন মজুমদারের (৪০) জানাজা ও দাফন চাঁদপুরে সম্পন্ন হয়েছে।

মঙ্গলবার সকাল ৮টায় হাজারো মানুষের উপস্থিতিতে ইমরানের জানাজা কচুয়া উপজেলার উত্তর কচুয়া ইউনিয়নের সিংড্ডা গ্রামে অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় অংশ নিতে সকাল থেকেই দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ আসতে থাকে। পরে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

জানাজার আগে চাঁদপুর ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের উপসহকারী পরিচালক সাহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে ইমরানকে ‘গার্ড অব অনার’ দেওয়া হয়।

শনিবার রাতে সীতাকুণ্ডের বিএম ডিপোতে অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহত ৪১ জনের মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের নয় সদস্য রয়েছেন। তার মধ্যে ইমরান একজন। তিনি মরহুম মকবুল হোসেনের ছেলে। ২০০১ সালে ফায়ারম্যান হিসেবে যোগদানকারী ইমরান দুই সন্তানের জনক। তার স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা বলে পরিবার জানিয়েছে।

ইমরানের ভাই সোলাইমান হোসেন জানান, শনিবার রাত ৮টার আগে ইমরানের সঙ্গে তার স্ত্রীর কথা হয়। অগ্নিকাণ্ডের পর আর তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি। তিনি নিখোঁজ ছিলেন। রোববার পরিবারের সদস্যরা চট্টগ্রাম গিয়ে ইমরানের খোঁজ করেন। কিন্তু এদিন তার সন্ধান পাননি।   

সোমবার ডিএনএ পরীক্ষা শেষে রাতেই ইমরানের মরদেহ শনাক্ত হয়। তারপর মরদেহ নিয়ে বাড়ির উদ্দেশে রওনা হয় পরিবারের সদস্যরা।
চাঁদপুর ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক সাহিদুল ইসলাম বলেন, ফায়ার সার্ভিসের পরিদর্শক জসীম উদ্দীনের তত্ত্বাবধানে সোমবার রাতে কুমিল্লা থেকে ইমরান হোসেন মজুমদারের মরদেহ চাঁদপুরে নিয়ে আসা হয়।

তিনি আরও বলেন, আমি নিহতের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি। যেকোনো প্রয়োজনে চাঁদপুর ফায়ার সার্ভিস তাদের পাশে আছে বলে আশ্বস্ত করেছি।

উত্তর কচুয়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. ফরিদ বলেন, ইমরান হোসেন মজুমদার অত্যন্ত ভদ্র ও ভালো একজন মানুষ ছিলেন। তিনি এলাকায় এলেই সবার খোঁজখবর নিতেন। তার মৃত্যুতে এলাকাবাসী গভীর শোকাহত।


  • সম্পাদক ও প্রকাশক: ইঞ্জিনিয়ার মো: রায়হানুল ইসলাম

  • উপদেষ্টাঃ মোঃ ইব্রাহীম হায়দার