বাংলাদেশ বর্তমানে বিশ্বের ৩৫তম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের প্রত্যাশা, ২০৩৭ সালের মধ্যে বাংলাদেশ বিশ্বের ২০তম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশে এবং ২০৪০ সাল নাগাদ বাংলাদেশ একটি ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিতে পরিণত হবে।
শনিবার (২৯ জুলাই) হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বাংলাদেশ স্টার্টআপ সামিট ২০২৩-এর উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি অনুষ্ঠান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এসব কথা বলেন। এসময় তিনি আরো বলেন, আমি জাতীয় উন্নয়নে দেশের স্টার্টআপদের আরো এগিয়ে আসার আহ্বান জানাই।
আমি আশা করি, সকল বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে ২০৪১ সালের মধ্যে সকলে মিলে জাতির পিতার স্বপ্নের উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ অর্থাৎ তথ্য-প্রযুক্তি নির্ভর ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ প্রতিষ্ঠা করতে পারবো, ইনশাআল্লাহ। আর আপনারাই হবেন সেই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার কারিগর।
সরকারপ্রধান আরো বলেন, ‘আমরা ২০৪১ সাল নাগাদ একটি সাশ্রয়ী, টেকসই, উদ্ভাবনী, বুদ্ধিদীপ্ত ও জ্ঞান নির্ভর স্মার্ট ও উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে চাই। এ লক্ষ্য অর্জনে আমাদের উদ্ভাবন ও গবেষণার ওপর জোর দিতে হবে।
চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স, ইন্টারনেট অব থিংস, ব্লকচেইন, রোবোটিক্স, বিগ ডেটা, মেডিক্যাল স্ক্রাইব, সাইবার সিকিউরিটির মতো অগ্রসর প্রযুক্তিতে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করতে হবে।’
তিনি আরো বলেন, আইসিটিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের নিজস্ব চিন্তা ও পরামর্শে আমরা ২০১৯ সালে ৫০০ কোটি টাকার তহবিল ঘোষণাসহ দেশে ‘স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড’ নামে একটি ভেঞ্চার ক্যাপিটাল কম্পানির অনুমোদন দেই। স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড এ পর্যন্ত ৩০টি বিনিয়োগ সম্পন্ন করেছে এবং এর ‘শতবর্ষে শত আশা’ ক্যাম্পেইনের আওতায় ১০০টি স্টার্টআপে বিনিয়োগের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমের মাধ্যমে ১৫ লখেরও বেশি প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর্মসংস্থান হয়েছে।
২ কোটিরও বেশি শিক্ষার্থীকে একাডেমিক কোর্স এবং স্কিল ডেভেলপমেন্ট কোর্স প্রদান করা হয়েছে। ‘স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড’ বিনিয়োগকৃত স্টার্টআপদের মাধ্যমে ডিসেম্বর-২০২২ পর্যন্ত ৯২ লক্ষ মানুষ সেবা ও প্রশিক্ষণ পেয়েছে যার মধ্যে ৫৫% নারী।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব মো. সামসুল আরেফিন প্রমুখ।