চলমান ১ দফা আন্দোলন কর্মসূচিতে ছাত্রলীগ-পুলিশের যৌথ হামলার প্রতিবাদে আমার বাংলাদেশ পার্টি ‘এবি পার্টি’ আজ ৩১ জুলাই ২০২৩, সোমবার রাজধানীতে আবারও বিক্ষোভ মিছিল করেছে। বিক্ষোভ মিছিল সকাল সাড়ে ১১ টায় বিজয় নগরস্থ বিজয়-৭১ চত্বর থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে শ্রম ভবন চত্বরে এসে পথ সভায় মিলিত হয়।
দলের যুগ্ম সদস্যসচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদের সঞ্চালনায় সংক্ষিপ্ত পথসভায় বক্তব্য রাখেন দলের সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক বিএম নাজমূল হক।
পথসভার বক্তব্যে সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, গণতন্ত্রের মানসকন্যার রূপ ধারণ করে ২০০৮ সালে ক্ষমতায় আসার পর ধীরে ধীরে আওয়ামীলীগ সভানেত্রী খোলস পাল্টিয়ে স্বৈরতন্ত্রের রাজকন্যা হয়ে বসেছেন। বৃটিশরা যেমন বন্ধুবেসী বণিক সেজে এসে আমাদের দেশ দখল করেছিলো শেখ হাসিনার ভূমিকাও আজ যেন একই রকম। জনগণের বাক্ স্বাধীনতা ও ভোটাধিকার হরন করে দেশে এখন আওয়ামী সিন্ডিকেট ও লুটেরাদের স্বর্গরাজ্য কায়েম করা হয়েছে। গত ১০ বছরে পুলিশ বাহিনীকে দলীয় বাহিনীতে পরিণত করা হয়েছে। তিনি বলেন, আমরা দেখেছি মার্কিন ভিসা নীতি ঘোষনার পর পুলিশের দলীয় ক্যাডারেরা কিছুটা গুটিয়ে গেলে সরকার ছাত্রলীগ, যুবলীগ দিয়ে পাল্টা সমাবেশ-কর্মসূচি দিয়ে বিরোধীদল মোকাবিলা করার ঘোষনা দিয়েছিল। কিন্তু গত একমাসে তাদের প্রত্যেকটি সভা সমাবেশ ফ্লপ করার পর তারা দিশেহারা হয়ে এবার আওয়ামীলীগ-ছাত্রলীগ-যুবলীগ ও পুলিশলীগ যৌথভাবে হামলা শুরু করেছে। অতীতের সকল ফ্যাসিবাদী শাসকরা একই পথ অনুসরন করেছিল কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। আওয়ামীলীগ ক্রমে জনবিচ্ছিন্ন হয়ে জাতীয় শত্রুতে পরিণত হচ্ছে বলে তিনি হুশিঁয়ার উচ্চারণ করেন।
সভায় যুগ্ম সদস্য সচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, কোন স্বৈরাচার, ফ্যাসিস্ট সরকার ইতিহাসে ঘৃনা ছাড়া কিছু পায়নি। বর্তমান শেখ হাসিনা সরকার বাকশালের যে দ্বিতীয় রেজিম তৈরি করার চেষ্টায় আছে তা আওয়ামিলীগের সকল অর্জনকে ঘৃনায় পরিনত করবে।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক বিএম নাজমূল হক বলেন, পুলিশ দিয়ে কিংবা সন্ত্রাসী লেলিয়ে দিয়ে আন্দোলন দমন করা যাবেনা। জনগণ এবার তাদের ভোটের অধিকার আদায় করে ছাড়বে ইনশাআল্লাহ।
সংক্ষিপ্ত পথসভা ও বিক্ষোভ মিছিলে আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় দফতর সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল মামুন রানা, দলের সিনিয়র সহকারী সদস্য সচিব আনোয়ার সাদাত টুটুল, যুব পার্টির আহ্বায়ক এবিএম খালিদ হাসান, কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুল বাসেত মারজান, ইঞ্জিনিয়ার আলমগীর হোসেন, ঢাকা মহানগর উত্তর আহ্বায়ক আলতাফ হোসেইন, সদস্য সচিব ফিরোজ কবির, যুবনেতা শাহাদাত উল্লাহ টুটুল, আক্তারুজ্জামান, মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল হালিম খোকন, যুগ্ম সদস্য সচিব সফিউল বাসার, নারী নেত্রী শাহনুর আক্তার শীলা, পল্টন থানা আহবায়ক আব্দুল কাদের প্রমূখ।