রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার ২নং, কিশমত গণকৈড় ইউনিয়নের রাতুগ্রাম সুজানগর বড় বিলে সরকারি নির্দেশ অমান্য করে প্রশাসনের নাকের ডগায গায়েবি ক্ষমতায় চলছে অবৈধভাবে পুকুর খননের কাজ। কিশমত গণকৈড় ইউনিয়নের রাতুগ্রাম সুজানগর বড় বিলে প্রায় ৫৫ বিঘা ফসলি জমি নষ্ট করে একসাথে চলছে দুইটি পুকুর খনন। এসব অবৈধ পুকুর খনন করছেন মোঃ মাহাবুর ও রবিউল ইসলাম। এসব অবৈধ পুকুর খননের মাটি বিক্রি করছেন বিভিন্ন ইটভাটাতে এসব অবৈধ পুকুর খননের মাটি বিক্রি করাতে নষ্ট হচ্ছে সরকারি রাস্তা। দিন-রাত ২৪ ঘন্টায় চলছে ফসলি জমিতে পুকুর খননের কাজ। এই উপজেলা কৃষি নির্ভরশীল হওয়ায় এসব অবৈধ পুকুর খননের জন্য বিপাকে পড়ছেন এলাকার কৃষক ও খেটে খাওয়া দিনমজুরা। এসব অবৈধ পুকুর খননে বিভিন্ন রাস্তা ঘাট ব্যবহার করার কারণে এ সকল রাস্তাঘাটগুলো বর্তমানে জনসাধারণের চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। তাছাড়াও এলাকায় ব্যাপক জলাবদ্ধতার সৃষ্টি ,খাদ্য সংকটের হুমকি ও পরিবেশ বিপর্যয়ের নানা রকম সমস্যা দেখা দিয়েছে। জানা যায় যে, গত (২১,মে শানিবার) উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি শুভ দেবনাথ ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছিলেন। ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করার দুইদিন পর থেকেই আবার শুরু হয়েছে এই অবৈধ পুকুর খনন কাজ। এবং (৬জুন গত সোমবার) আবারও ওই স্থানে নতুন করে ২৫ বিঘা ফসলি কৃষি জমিতে পুকুর খনন শুরু করেছে অবৈধ পুকুর খননকারীরা। স্থানীয় প্রশাসন দেখেও না দেখার ভান করছে। উপজেলার বেশ কয়েকটি অবৈধ পুকুর খননে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে জেল এবং জরিমানা করেছে কিন্তু কোন এক অজানা কারণে কিশমত গণকৈড় ইউনিয়নের রাতুগ্রাম সুজানগর বড় বিলে দুইটি অবৈধ পুকুর খননের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না স্থানীয় প্রশাসন।এবিষয়ে দুর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোঃ সোহেল রানা জানান, দ্রুত এই পুকুর খনন এবং খননকারী বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।