পৃথিবীর ইতিহাসে প্রথমবারের মতো মহাশূন্যে মহাকাশযান পাঠিয়েছিল রাশিয়া। এরপর দেশটি ১৯৭৬ সালে শেষবারের মতো চাঁদে মহাকাশযান পাঠায়। সেই থেকে দীর্ঘ ৪৭ বছর পরও আবারও চাঁদে মহাকাশযান পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রুশ কর্তৃপক্ষ। ভবিষ্যতে চাঁদের পৃষ্ঠে বসতি গড়ার লক্ষ্যে পানির খোঁজে দক্ষিণ মেরুতে মহাকাশযানটি পাঠাবে দেশটি।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মস্কো থেকে ৫ হাজার ৫৫০ কিলোমিটার পূর্বে অবস্থিত ভস্টকনি কসমোড্রোম থেকে আগামী ১১ আগস্ট লুনা-২৫ নামে ওই মহাকাশযান চাঁদের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করবে। ১২ দিন পর, অর্থাৎ ২৩ আগস্ট সেটি চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করবে।
এবড়োখেবড়ো পৃষ্ঠের কারণে দক্ষিণ মেরুতে মহাকাশযানগুলোর অবতরণ করা বেশ কঠিন। তবে বিজ্ঞানীদের অনুমান, চাঁদের এই অংশেই উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বরফ রয়েছে, যা থেকে জ্বালানি এবং অক্সিজেন পাওয়া সম্ভব হতে পারে। পাশাপাশি খাওয়ার পানিও পাওয়া যেতে পারে।
রাশিয়ার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা রসকসমস জানিয়েছে, লুনা-২৫ মহাকাশযানটির চাঁদ পর্যন্ত পৌঁছাতে মূলত সময় লাগবে পাঁচ থেকে সাত দিন। তবে বাকি পাঁচ থেকে সাত দিন লুনা-২৫ চাঁদের কক্ষপথে অবস্থান করবে, যাতে করে অবতরণের জন্য সম্ভাব্য তিনটি স্থান ভালোভাবে যাচাই করতে পারে। রাশিয়া এমন এক সময়ে এই মহাকাশযান পাঠাল, যা ভারতের চন্দ্রযান-৩ পাঠানোর সময়ের কাছাকাছি।
তবে রসকসমস জানিয়েছে, রাশিয়া ও ভারতের মহাকাশযান একই এলাকায় অবস্থান করলেও তারা পরস্পরের কাজে বাধা হয়ে দাঁড়াবে না। কারণ, উভয় মহাকাশযানই আলাদা আলাদাভাবে কাজ করার জন্য নির্দেশ দিয়ে পাঠানো হয়েছে। এক বিবৃতিতে রসকসমস বলেছে, ‘সেগুলোর পরস্পরের সঙ্গে সংঘর্ষের কোনো আশঙ্কা নেই। চাঁদে সবার জন্য পর্যাপ্ত জায়গা রয়েছে।’