চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে থামছে না গরু চুরির ঘটনা। গত সোমবার রাতেও কসবা ইউপির চন্দনা গ্রামে এক স্কুলশিক্ষকের বাড়ি থেকে একটি গাভী ও দুটি বড় খাসি চুরি হয়েছে।
এ নিয়ে গত এক মাসে ১০টি গরু চুরির ঘটনাসহ স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা চুরির ঘটনা ঘটে। বিশেষ করে গরু চুরির ঘটনায় প্রান্তিক গরু খামারিরা আতঙ্কে রাত কাটাচ্ছেন।
স্কুলশিক্ষক মোজাম্মেল হক জানান, রাত যখন ২টা, ঠিক তখন তার গোয়াল ঘরে বিকট শব্দ হয়। শব্দ শোনার পর ঘুম ভেঙে গেলে গোয়ালঘরে গিয়ে দেখি গোয়ালঘরের তালা কাটা রয়েছে এবং গোয়ালঘরে গরু ও খাসি নেই। পরে বাইরে বের হয়ে দেখতে পাই ৩-৫ জন চোর সাদা পিকআপে করে গরু ও খাসি নিয়ে যাচ্ছে। পরে চোরদের পিছু নিলেও রাত গভীর হওয়ার কারণে চোরদের ধরতে পারিনি।
স্থানীয় এলাকাবাসীর দাবি, পুলিশের পাশাপাশি জেলা পুলিশের অতিরিক্ত টিম এলাকায় টহল জোরদার করলে চুরির ঘটনা কমতে পারে।
এ বিষযে নাচোল থানার ওসি মিন্টু রহমান যুগান্তরকে বলেন, চুরির ঘটনায় পুলিশি টহল জোরদার রয়েছে। এ সময় চোরদের উৎপাত বেশি, তাই রাতে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকজন চোরকে আটক করা হয়েছে এবং চুরির মালামাল কিছুটা উদ্ধার করা হয়েছে। চোরদের ধরতে পুলিশ কঠোর অবস্থানে রয়েছে।