সৌদি আরবের দুটি পবিত্র স্থানে জমজমের পানি পান করার ক্ষেত্রে মুসলিম পুণ্যার্থীদের জন্য কিছু নির্দেশিকা জারি করেছে কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার গালফ নিউজের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জমজমের পানি পান করার ক্ষেত্রে নতুন নির্দেশিকাটি সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা হয়েছে। এই নির্দেশিকায় জমজমের পানি পান করার সময় পুণ্যার্থীদের ধাক্কাধাক্কি এড়িয়ে চলার পরামর্শ ছাড়াও অন্যকে সহযোগিতার কথা বলা হয়েছে। এ ছাড়া পানি পান করার সময় বয়স্কদের আগে সুযোগ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
এ ছাড়া আরও বলা হয়েছে, জমজমের পানি পান করার পর একবার ব্যবহারযোগ্য কাপগুলো নির্ধারিত স্থানে ফেলতে হবে। আর পান করার সময় তা সতর্কতার সঙ্গে করতে হবে, যেন মেঝেতে পানি না পড়ে। কারণ মেঝেতে পানি পড়লে খুব দ্রুত পরিবেশ নোংরা হয়ে যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জমজমের জীবাণুমুক্ত পানি মূলত ইসলামের দুই পবিত্র স্থান—মক্কার গ্র্যান্ড মসজিদ এবং মদিনার প্রফেট মসজিদে বিতরণ করা হয়।
নতুন ওমরাহ মৌসুমকে সামনে রেখে এসব নির্দেশনা জারি করা হয়েছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
মুসলিম পুণ্যার্থীদের কাছে জমজমের পানি বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। অন্য দেশ থেকে যাঁরা সৌদি আরবে ওমরাহ ও হজ পালন করতে যান, তাঁরা দেশে ফেরার সময় প্রায়ই জমজমের পানি কিনে নিয়ে যান। এই পানি সাধারণত পুণ্যার্থীরা তাঁদের আত্মীয়-স্বজন এবং বন্ধুদের উপহার দিয়ে থাকেন।
অনেকেই বিশ্বাস করেন, জমজমের পানির বিশেষ ক্ষমতা রয়েছে। এই পানি পান করলে অনেক সময় তা বড় ধরনের রোগের বিরুদ্ধেও কার্যকরী হতে পারে।
বর্তমানে নুসুক অ্যাপের মাধ্যমেই ওমরাহ ও হজযাত্রীরা নির্দিষ্ট পরিমাণ জমজমের পানির জন্য বুকিং দিতে পারেন। সম্প্রতি বাংলাদেশি পুণ্যার্থীদের জন্যও নুসুক অ্যাপটি উন্মুক্ত করেছে সৌদি আরবের ওমরাহ ও হজ মন্ত্রণালয়।