‘বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বাইরের হস্তক্ষেপ প্রত্যাশিত নয়’


, আপডেট করা হয়েছে : 08-09-2023

‘বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বাইরের হস্তক্ষেপ প্রত্যাশিত নয়’

বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বাইরের কারও হস্তক্ষেপ প্রত্যাশিত নয় বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ সফররত রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে ঢাকার ইন্টারকন্টিন্টোল হোটেলে বৈঠকের পর যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ল্যাভরভ এ কথা বলেন।


বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ কোনো ইস্যুতে হস্তক্ষেপ প্রত্যাশিত নয়। অব্যাহত চাপের মুখেও বাংলাদেশ যে তার পররাষ্ট্রনীতি সমন্বিত রেখেছে তার প্রশংসা করেন ল্যাভরভ।


ল্যাভরভ বলেন, ‘জাতিসংঘ এবং বন্ধু দেশের চাপের পরেও বাংলাদেশ তার নিজের স্বার্থ রক্ষা করে চলবে বলেই রাশিয়া বিশ্বাস করে। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ কোন ইস্যুতে হস্তক্ষেপ প্রত্যাশিত নয়। অব্যাহত চাপের পরেও ঢাকার তার পররাষ্ট্রনীতি সমন্বিত রেখেছে যা প্রশংসা যোগ্য।’


মোমেন ও ল্যাভরভ প্রায় এক ঘণ্টা দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন। বৈঠকের পর দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী যৌথ সংবাদ সম্মেলনে আসেন।


সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তারা এ নিয়ে আমাদের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন যে, তাদের (রোহিঙ্গাদের) নিজ দেশে ফিরে যাওয়া উচিত। এ বিষয়ে আমরা তাদের সহায়তা চেয়েছি। আমরা উভয় দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য আরও বাড়ানোর জন্য বলেছি। তারা আমাদের আশ্বস্ত করেছেন।’


রাশিয়া বাংলাদেশকে তার কাছ থেকে এলএনজি নেয়ার প্রস্তাব দিয়েছে জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জ্বালানি বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। এছাড়া ইউক্রেন যুদ্ধ, দু’দেশের বাণিজ্যসহ নানা ইস্যুতে আলোচনা হয়েছে বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।


মোমেন বলেন, ‘বাংলাদেশের একটি পররাষ্ট্রনীতি আছে। আমরা সবার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখি। আমাদের পররাষ্ট্রনীতি অনুযায়ী, শান্তিপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে যে কোনো সমস্যা সমাধানযোগ্য বলে মনে করি।’


একদিনের সফরে বৃহস্পতিবার ঢাকায় আসেন সের্গেই ল্যাভরভ। স্বাধীন বাংলাদেশে এটাই কোনো রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রথম সফর।


শুক্রবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী। সেখান থেকে ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শনে যাবেন। দুপুর দুইটায় জি-২০ সম্মেলনে যোগ দিতে নয়াদিল্লির উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়বেন ল্যাভরভ।


কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, সের্গেই ল্যাভরভ ঢাকা সফরের সময় রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, প্রতিরক্ষা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, প্রযুক্তিগত সহযোগিতাসহ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন।


এছাড়া আলোচনায় গুরুত্ব পাবে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পরিস্থিতি এবং এর প্রভাব ও রোহিঙ্গা ইস্যু।


সের্গেই ল্যাভরভ ইন্দোনেশিয়া হয়ে ঢাকায় এসেছেন। জাকার্তাতে ১৮তম ইস্ট এশিয়া সম্মেলনে যোগদান শেষে তিনি রওনা হন। ঢাকায় বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন।


  • সম্পাদক ও প্রকাশক: ইঞ্জিনিয়ার মো: রায়হানুল ইসলাম

  • উপদেষ্টাঃ মোঃ ইব্রাহীম হায়দার