জি-২০ সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী


, আপডেট করা হয়েছে : 09-09-2023

জি-২০ সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জি-২০ সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য ‘এক পৃথিবী, এক পরিবার, এক ভবিষ্যৎ’-এর ওপর দুটি ভাষণ দেবেন। ‘এক পৃথিবী’ এবং ‘এক পরিবার’ অধিবেশন চলাকালীন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জলবায়ু পরিবর্তন, কোভিড মহামারির পরে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার, ইউরোপে যুদ্ধের ফলে খাদ্য, সার এবং জ্বালানির মতো প্রয়োজনীয় পণ্যগুলোর বৈশ্বিক সরবরাহের মারাত্মক ব্যাঘাতের মতো চ্যালেঞ্জগুলো কীভাবে মোকাবিলা করা যায় তা নির্দেশ করবেন।


এ ছাড়া বর্তমান সরকারের মেয়াদে বিভিন্ন আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অভাবনীয় সাফল্যের অভিজ্ঞতাও প্রধানমন্ত্রী অংশগ্রহণকারী বিশ্বনেতাদের কাছে তুলে ধরবেন। 


ভারতের জি-২০ সভাপতিত্ব ২০২২ সালের ডিসেম্বরে শুরু হয়েছিল এবং এ সভাপতিত্বের মেয়াদে ভারত বাংলাদেশসহ ৯ দেশের সবগুলোকে জি-২০ সম্মেলনে যোগদানের জন্য আমন্ত্রণ জানায়। দেশগুলো হলো— বাংলাদেশ, মিশর, মরিশাস, নেদারল্যান্ডস, নাইজেরিয়া, ওমান, সিঙ্গাপুর, স্পেন ও সংযুক্ত আরব আমিরাত।


জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের সমাপনী পর্বে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী পর্যায়ের এবং ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকে আলোচিত এবং সম্মত হওয়া অগ্রাধিকারগুলোর প্রতি নেতৃবৃন্দের প্রদত্ত প্রতিশ্রুতির ভিত্তিতে একটি জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের ঘোষণা গৃহীত হবে। 


গ্রুপ অব টোয়েন্টি (জি-২০) হলো আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক সহযোগিতার প্রধান ফোরাম। এটি সব প্রধান আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক ইস্যুতে বৈশ্বিক স্থাপত্য এবং শাসন শক্তিশালীকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।


১৯৯৯ সালে এশীয় আর্থিক সংকটের পর অর্থমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরদের বৈশ্বিক অর্থনৈতিক ও আর্থিক সমস্যা নিয়ে আলোচনার জন্য জি-২০ একটি ফোরাম হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।


জি-২০ ১৯ দেশ (আর্জেন্টিনা, অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, কানাডা, চীন, ফ্রান্স, জার্মানি, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ইতালি, জাপান, কোরিয়া প্রজাতন্ত্র, মেক্সিকো, রাশিয়া, সৌদি আরব, দক্ষিণ আফ্রিকা, তুরস্ক, যুক্তরাজ্য এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। 



  • সম্পাদক ও প্রকাশক: ইঞ্জিনিয়ার মো: রায়হানুল ইসলাম

  • উপদেষ্টাঃ মোঃ ইব্রাহীম হায়দার