খুব কাছের বন্ধু হিসেবে জি২০ সম্মেলনে বাংলাদেশ


, আপডেট করা হয়েছে : 09-09-2023

খুব কাছের বন্ধু হিসেবে জি২০ সম্মেলনে বাংলাদেশ

ভারতের খুব কাছের বন্ধু ও প্রতিবেশী দেশ হিসেবে বাংলাদেশ জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন ভারতের জি২০-এর মুখ্য সমন্বয়ক ও সাবেক পররাষ্ট্রসচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা। আজ শনিবার নয়াদিল্লিতে দুই দিনব্যাপী ওই সম্মেলন শুরু হচ্ছে।


সম্মেলন নিয়ে গতকাল শুক্রবার বিকেলে নয়াদিল্লির ভারত মণ্ডপমে স্থাপিত আন্তর্জাতিক মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করেন হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা, ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিনয় কোয়াত্রাসহ জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা। সংবাদ সম্মেলন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ভারতের জি২০-এর মুখ্য সমন্বয়ক শ্রিংলা বলেন, ‘খুব কাছের ও প্রতিবেশী বন্ধু হিসেবে আমরা বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানিয়েছি—এটি আমলে নেওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ।



শ্রিংলা যখন সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দিচ্ছিলেন তার প্রায় দুই ঘণ্টা আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নয়াদিল্লিতে পৌঁছেন। গতকাল সন্ধ্যায় শেখ হাসিনা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করেন।


ওই বৈঠকের আগে শ্রিংলা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিল্লিতে এসেছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আগেভাগেই বৈঠক করবেন।


 


আমার মনে হয়, এই বৈঠক খুব গুরুত্বপূর্ণ।’


 


এদিকে জি২০ সম্মেলন নিয়ে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে শ্রিংলা বলেন, ভারতের জি২০ সভাপতিত্ব সবচেয়ে বৈচিত্র্যময়। গত ১ ডিসেম্বর ভারত জি২০-এর সভাপতির দায়িত্ব নেয়। এরপর ভারতজুড়ে ৬০টিরও বেশি শহরে ২০০-এরও বেশি বৈঠক হয়েছে।


 


সম্মেলন ও বৈঠকগুলোকে ঘিরে ভারত তার গণতন্ত্র, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে তুলে ধরেছে। ১৮ হাজারেরও বেশি সংস্কৃতিকর্মী অনুষ্ঠানগুলোতে অংশ নিয়েছেন। সম্মেলন ঘিরে জনগণের সম্পৃক্ততা ছিল।


 


জি২০-এ ভারতের শেরপা অমিতাভ কান্ত বলেন, জি২০ সম্মেলনে নয়াদিল্লি ঘোষণায় ‘গ্লোবাল সাউথের’ বক্তব্য প্রতিফলিত হবে। তিনি বলেন, শেরপাদের সুপারিশ সম্মেলনে শীর্ষ নেতাদের বিবেচনার জন্য তোলা হবে।


 


ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিনয় কোয়াত্রা বলেন, জি২০ নিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নিবন্ধেই সব বিষয় এসেছে। নরেন্দ্র মোদি আজ জি২০ সম্মেলনে ‘এক বিশ্ব’ ও ‘এক পরিবার’ নামের দুটি সেশনে সভাপতিত্ব করবেন। আগামীকাল রবিবার সম্মেলনের শেষ দিন নরেন্দ্র মোদি ‘এক ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক সেশনে সভাপতিত্ব করবেন। সম্মেলন উপলক্ষে আসা রাষ্ট্রপ্রধান, সরকারপ্রধানসহ অন্য অতিথিদের সম্মানে ভারতের রাষ্ট্রপতি আজ নৈশ ভোজের আয়োজন করছেন।


চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিনপিংয়ের অনুপস্থিতিতে সম্মেলনে প্রভাব পড়বে কি না, জানতে চাইলে ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বলেছেন, এ বিষয়ে আগেই ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুব্রামানিয়াম জয়শঙ্কর বলেছেন। নতুন করে আর কিছু বলার নেই।


জি২০-এ ভারতের শেরপা অমিতাভ কান্ত বলেন, ‘চীন খুব গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়। আমরা সব দেশের সঙ্গে কাজ করেছি।’


জি২০ সম্মেলন শেষে ঘোষণায় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের বিষয়ে কিছু থাকবে কি না, জানতে চাইলে ভারতের কর্মকর্তারা বলেছেন, জি২০ একটি অর্থনৈতিক ফোরাম। সেখানে প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা হয়। তবে যুদ্ধের কারণে প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নে প্রভাব নিয়ে বালি সম্মেলনে আলোচনা করা হয়েছিল। এবার কী আলোচনা হবে তা সম্মেলনের নেতারা ঠিক করবেন।



  • সম্পাদক ও প্রকাশক: ইঞ্জিনিয়ার মো: রায়হানুল ইসলাম

  • উপদেষ্টাঃ মোঃ ইব্রাহীম হায়দার