দৃষ্টিনন্দন বঙ্গবন্ধু টানেল এখন যেন সেলফি ভুবন!


, আপডেট করা হয়েছে : 12-09-2023

দৃষ্টিনন্দন বঙ্গবন্ধু টানেল এখন যেন সেলফি ভুবন!

দৃষ্টিনন্দন রাতের আলোয় আলোকিত চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল। সন্ধ্যা নামলেই প্রতিদিন পর্যটকরা ভিড় করেন নদীর নিচ দিয়ে তৈরি দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম টানেলের মনোমুগ্ধকর সৌন্দর্য উপভোগ করতে। আলো ঝলমলে এ টানেলের সামনে দাঁড়িয়ে সেলফিও তোলেন পর্যটকরা।


সংশ্লিষ্টরা জানান, উদ্বোধনের আগেই হাজারো পর্যটক পরিবার-পরিজন নিয়ে সন্ধ্যার পর ভিড় করেন টানেলের সৌন্দর্য দেখতে। টানেলটি চালু হলে এখানে ব্যবসা-বাণিজ্যের সামগ্রিক প্রসার ঘটার আশা পতেঙ্গা প্রান্তের ব্যবসায়ীদের।


সরেজমিনে দেখা যায়, রাতের আলোয় আলোকিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের পতেঙ্গা প্রান্ত। চোখ ধাঁধানো মুক্তঝরা আলো ঝলমলে পরিবেশ পুরো পতেঙ্গা এলাকায়। টানেলের কল্যাণে চিরচেনা পতেঙ্গা যেন পেয়েছে অন্যরূপ। টানেল উদ্বোধনের আগেই উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে এলাকা জুড়ে। টানেলের ভেতরে ঢোকার সুযোগ নেই। আলো ঝলমলে টানেলের সামনে দাঁড়িয়ে সেলফি না তুললেই যেন নয়।


টানেল দেখতে আসা রাজিব ও সীমাসহ অনেকে জানান, ‘এর লাইটিং আর দৃষ্টিনন্দন সৌন্দর্য দেখে আমরা মুগ্ধ। এছাড়া এখানে আরও যে সুবিধা যোগ হবে, তা আমাদের মুগ্ধ করবে বলে আশা করছি। এর উদ্বোধন হলেই আমাদের স্বপ্নের প্রতিফলন ঘটবে।’


শুধু চট্টগ্রাম নয়, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সাধারণ মানুষ আসছেন টানেলটা একনজর দেখতে। পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল ও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের পর নিজেদের সক্ষমতা জানান দিতে এখন পুরোপুরি প্রস্তুত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল। রাতের বেলাতেও এখানে ব্যবসা-বাণিজ্যের আশা প্রকাশ করেন পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মো. ওয়াহিদুল আলম মাস্টার।


তিনি বলেন, পতেঙ্গায় সমুদ্র সৈকত, বিমানবন্দর ও সৈকত রয়েছে। টানেলটি চালু হলে পতেঙ্গা দেশের অন্যতম একটি পর্যটন স্থানে পরিণত হবে। টানেলটি দিয়ে প্রতিদিন গড়ে অন্তত সতেরো হাজার গাড়ি চলাচল করবে।



  • সম্পাদক ও প্রকাশক: ইঞ্জিনিয়ার মো: রায়হানুল ইসলাম

  • উপদেষ্টাঃ মোঃ ইব্রাহীম হায়দার