দলকে ভালোবেসে মাথার চুল কেটে নৌকা বানালেন তারা


, আপডেট করা হয়েছে : 12-09-2023

দলকে ভালোবেসে মাথার চুল কেটে নৌকা বানালেন তারা

দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করি। আমার কোনো চাওয়া পাওয়া নাই। আমি আওয়ামী লীগকে ভালোবেসে মাথার চুল কেটে নৌকা বানিয়েছি।’


কথাগুলো ঝিনাইদহের হলিধানী ইউনিয়নের কোলা গ্রামের বাসিন্দা আতর আলীর ছেলে ওমর আলীর। দলের প্রতি ভালোবাসা থেকে নিজের মাথার চুলের কাটিং পরিবর্তন করে দলীয় প্রতীক ‘নৌকা’ বানিয়েছেন তিনি।


তবে তার সঙ্গে রয়েছেন আরও একজন। জেলার হলিধানী ইউনিয়নের শালিয়া গ্রামের বাসিন্দা ইনতাজ মন্ডলের ছেলে রনিও নিজের মাথার চুল কেটে ‘নৌকা’ প্রতীক বানিয়েছেন।


রনি পেশায় রাজমিস্ত্রি ও ওমর অনিয়মিত ইজি বাইক চালক। তারা রাজনৈতিক সহকর্মী। এদিকে তাদের এ ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে এ নিয়ে বেশ আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়।


ঝিনাইদহ সদর হলিধানী এলাকার রশীদ বাউল জানান, মানুষ ভালোবাসা প্রকাশে কত কিছুইনা করে। কতশত মানুষ কিন্তু দলের প্রতি ভালোবাসার অনন্য নজির স্থাপন করেছেন। এই দুইজন খেটে খাওয়া মানুষ রনি মন্ডল ও ওমর আলী।


তাদের ব্যতিক্রমী চুলের কাটিং মানুষকে নজর কাড়তে বাধ্য করছে। এলাকায় রীতিমতো হৈচৈ পড়ে গেছে। একনজর দেখতে সবসময় তাদের চারপাশে মানুষের ভিড় লেগেই আছে। রনি তার মাথায় ডিজাইন করে ৫টি আর ওমর বানিয়েছেন ৪টি নৌকা।


এলাকাবাসী তরিকুল ইসলাম জানান, এটি দলের প্রতি চরম ভালোবাসারই বহিঃপ্রকাশ। তারা দরিদ্র হলেও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভালোবাসা অনন্য উদাহরণ গড়েছেন। গ্রামের রাস্তায়, চায়ের দোকানে এমনকি মিছিলেও এই চুলের কাটিং নিয়ে আলোচনা চলছে। বিভিন্ন মানুষের বিভিন্ন দিচ্ছেন।


ওমর আলী বলেন, এই ইউনিয়নের ঢাকাপাড়ার সরকারি খাসজমিতে বসবাস থাকতাম। আমার স্ত্রী অনেক আগে আমাকে ছেড়ে সন্তানদের নিয়ে চলে গেছে। এরপর আর সংসার করা হয় নাই। অটো চালিয়ে জীবন যাবন করি।


দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করি। আমার কোনো চাওয়া পাওয়া নাই। আমি আওয়ামী লীগকে ভালোবেসে মাথার চুল কেটে নৌকা বানিয়েছি।


এদিকে রনি বলেন, আমি পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি । আমাদের কোনো চাওয়া পাওয়া নেই। আমরা সত্যিই শেখ হাসিনাকে ভালোবাসি। আওয়ামী লীগকে ভালোবাসি তাই চুল কেটে নৌকা বানিয়েছি ।


হলিধানী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসেম বলেন, আমরা অত্যন্তু খুশি কারণ আওয়ামী লীগকে অনেকেই ভালোবাসে কিন্তু এমন ব্যতিক্রমী ভালোবাসা সত্যিই দেখা যায় না।


  • সম্পাদক ও প্রকাশক: ইঞ্জিনিয়ার মো: রায়হানুল ইসলাম

  • উপদেষ্টাঃ মোঃ ইব্রাহীম হায়দার