শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান-কলম্বোর প্রেমাদাসায় দুটো দলের কাছেই গতকাল সমীকরণ ছিল খুবই সহজ। যে জিতবে, সেই রোববার ভারতের বিপক্ষে ফাইনালে মুখোমুখি হবে। সেই সহজ সমীকরণের ম্যাচটাই না হয়েছে কত জটিল। বৃষ্টির বাধা উপেক্ষা করে প্রতি পরতে পরতে উত্তেজনা ছড়িয়েছে শ্রীলঙ্কা-পাকিস্তান ‘অলিখিত সেমিফাইনাল’। কখনো শ্রীলঙ্কার দিকে, কখনো পাকিস্তানের দিকে ম্যাচ হেলে পড়ছিল। পেন্ডুলামের মতো দুলতে থাকা ম্যাচের নিষ্পত্তি হয়েছে শেষ বলে।
বৃষ্টি আইনে গতকাল ৪২ ওভারে ২৫২ রানের লক্ষ্য ছিল শ্রীলঙ্কার সামনে। শেষ ৯ বলে লঙ্কানদের দরকার ছিল ৯ রান, হাতে ছিল ৫ উইকেট। এখান থেকেই ম্যাচের ভোল পাল্টানো শুরু। শাহিন শাহ আফ্রিদি নিলেন জোড়া উইকেট। একপর্যায়ে লঙ্কানদের জয়ের সমীকরণ দাঁড়ায় ২ বলে ৬ রান। সেখান থেকে শ্রীলঙ্কাকে ২ উইকেটের রুদ্ধশ্বাস জয় এনে দিয়েছেন চারিথ আসালাঙ্কা।
রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ জয়ের কৃতিত্ব বাবর আজম দিয়েছেন শ্রীলঙ্কাকেই। ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে পাকিস্তান অধিনায়ক বলেন, ‘দিনশেষে আমরা আমাদের সেরা বোলারদের বোলিং করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। একারণে শাহিনকে শেষের থেকে দ্বিতীয় ওভারে খেলানোর চিন্তা করেছি। আর শেষ ওভারের জন্য জামান খানের ওপর ভরসা করেছি। শ্রীলঙ্কা সত্যিই ভালো খেলেছে। আমাদের চেয়ে ভালো ক্রিকেট খেলেই জিতেছে।’
২৫২ রানের লক্ষ্যে নামা শ্রীলঙ্কা ২০ রানেই হারিয়েছে প্রথম উইকেট। ছন্দে থাকা কুশল মেন্ডিস উইকেটে এসে সাবলীল ব্যাটিংয়ে দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন। ৮৭ বলে ৯০ রানের ইনিংস খেলে হয়েছেন ম্যাচসেরা। যার মধ্যে সাদিরা সামারাবিক্রমার সঙ্গে তৃতীয় উইকেটে ১০০ রানের জুটি গড়তে অবদান রেখেছেন মেন্ডিস। এছাড়া দলের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে বেশ কিছু সুযোগ পেয়েও পাকিস্তান তা কাজে লাগাতে পারেনি। সতীর্থদের বোলিং ও ফিল্ডিং নিয়ে আক্ষেপ ঝরেছে বাবরের কণ্ঠে, ‘আমাদের বোলিং ও ফিল্ডিং ভালো হয়নি। মিডল ওভারে ভালো খেলেই জিতেছে। সেই জুটিটাই (সাদিরা সামারাবিক্রমা-কুশল মেন্ডিসের জুটি) আমাদের ম্যাচ থেকে ছিটকে দিয়েছে। আমাদের শুরুটা ভালো হচ্ছে, শেষটাও ভালো করছি তবে মিডল ওভারে উইকেট নিতে পারছি না।’