জ্বালানি অধিকার সপ্তাহ উপলক্ষে রাবিতে শিক্ষার্থীদের গণ জমায়েত


, আপডেট করা হয়েছে : 20-09-2023

জ্বালানি অধিকার সপ্তাহ উপলক্ষে রাবিতে শিক্ষার্থীদের গণ জমায়েত

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) জ্বালানি অধিকার সপ্তাহ–২০২৩ উপলক্ষে ছাত্র গণ জমায়েত ও কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) বেলা ১২ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের পেছনে এই গণ জমায়েত কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। কর্মসূচিতে বিভিন্ন বিভাগের প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।


এলএনজি ভিত্তিক সকল টার্মিনাল ও বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ করাই গণ জমায়েতের মূল দাবি বলে জানান তারা।


এসময় গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী আবদুস সবুর লোটাস বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে দেশের জনসংখ্যা ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই বিশাল জনগণের চাহিদা মেটাতে সরকার অস্থায়ী ব্যবস্থার দিকেই ঝুঁকে আছে। এজন্য বিদ্যুতের চাহিদা সরকার পূরন করতে পারছে না। বাংলাদেশে অনেক নদী আছে যেখান থেকে বিদুৎ উৎপাদন করা যায় এবং অনেক   স্থলভূমি আছে যেখানে সৌরপ্যানেলের মাধ্যমে বিদুৎ উৎপাদন করা সম্ভব। কিন্তু সরকার তা না করে জ্বালানী  ভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের দিকে ঝুঁকে পড়েছে। যা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। তাই  নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার করতে হবে যাত করে অর্থ ও পরিবেশ উভয়ই রক্ষা পাবে।


গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী সোহানুর রহমান রাফি বলেন, বিকল্প জ্বালানীর বিষয়টি নিশ্চিত না করার কারনে বাংলাদেশেকে আমদানী নির্ভর জ্বালানীর উপর নির্ভর করতে হচ্ছে। এক জরীপ অনুযায়ী ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশে যে জ্বালানী ব্যবহার করা হবে তার ৯০ শতাংশই হবে আমদানী করা, যার জন্য একটা বিপুল পরিমান অর্থের প্রয়োজন হবে। খেয়াল করে দেখা যাবে যেখানে জ্বালানী নির্ভর বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ উৎয়াদনে ব্যয় হচ্ছে গড়ে প্রায় ২২ টাকা সেখানে জলবিদ্যুতে ব্যয় হয় মাত্র ১৫ পয়সা।

এর ফলে জ্বালানী নির্ভরিতার কারনে সরকারের ভর্তুকি দিতে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে হচ্ছে। বিদ্যুৎকেন্দ্র গুলোকে ভসিয়ে বসিয়ে ক্যাপাসিটি চার্জ দিতে হচ্ছে। অথচ নবায়ন্যোগ্য জ্বালানীতে কিন্তু আমিরা বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারবো। এতে সরকারের ভর্তুকিও দিতে হিব্র না এবং বিদ্যুৎ উৎয়াদনেত পরিমানও বেড়ে যাবে। তাই আমাদের নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। এতে অর্থ ও পরিবেশ দুটোই বাঁচবে।


গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আসিফ আজাদ সিয়াম বলেন, আমারা একটি সংকটময় পরিস্থিতি মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার পাশাপাশি আমাদের রিজার্ভের অর্থ দিন দিন কমছে আসছে। এর মধ্যে আমরা দেখতে পাচ্ছি সরকার অনবায়ন যোগ্য জ্বালানি যেমন কয়লা গ্যাস তেল জীবাশ্ম নির্ভর বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দিকে ঝুকছে। অথচ এই পরিস্থিতিতে আমাদের উচিত নবায়নযোগ্য  আজ্বালানি নির্ভর বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দিকে বেশি মনোযোগ দেওয়া। নবায়নযোগ্য জ্বালানির সরবরাহ বাড়ানো। এলএনজি আমদানিতে সরকার হাজার কোটি টাকা খরচ করে। যে চাপ গিয়ে পড়ে দেশীয় রিজার্ভের উপর। বৈশ্বিক গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়ছে যা আমাদের মত উপকূলীয় দেশ গুলোর জন্য হুমকি।


বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী তৌসিফ কাইয়ুমের সঞ্চালনায় প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।



  • সম্পাদক ও প্রকাশক: ইঞ্জিনিয়ার মো: রায়হানুল ইসলাম

  • উপদেষ্টাঃ মোঃ ইব্রাহীম হায়দার