বাংলায় হচ্ছে রাজউক আইন, চেয়ারম্যান পাবেন গ্রেড ১


, আপডেট করা হয়েছে : 28-09-2023

বাংলায় হচ্ছে রাজউক আইন, চেয়ারম্যান পাবেন গ্রেড ১

টাউন ইমপ্রুভমেন্ট অ্যাক্ট-১৯৫৩-এ ব্যাপক পরিবর্তনের মাধ্যমে নতুন আইন করা হচ্ছে। এটি ‘রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইন ২০২২’ নামে পরিচিত হবে। বিদ্যমান আইনে একটি অধ্যায় ও ১৪টি সংজ্ঞা যুক্ত হচ্ছে এবং ৩১টি ধারা বাতিল করা হচ্ছে। কর্তৃপক্ষের পাঁচজন সদস্যের জায়গায় সাতজন করা হচ্ছে। নতুন আইনে ড্যাপ, বিএনবিসি, মোবাইল কোর্ট আইন, জলাধার সংরক্ষণ আইন যুক্ত করা হচ্ছে।


প্রস্তাবিত এ আইন পাস হলে রাজউক চেয়ারম্যান ও সদস্যরা কমপক্ষে দুই বছরের জন্য নিয়োগ পাবেন। সেই সঙ্গে চেয়ারম্যান পদটিও গ্রেড-১ পদমর্যাদার হবে। বর্তমান আইন অনুযায়ী অতিরিক্ত সচিব রাজউক চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পেয়ে থাকেন। যদিও বর্তমান চেয়ারম্যান সচিব মর্যাদার। এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাজউক চেয়ারম্যান মো. আনিছুর রহমান মিঞা গত সোমবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘টিআই অ্যাক্টে বেশ কিছু পরিবর্তন এনে রাজউক আইন নামে করা হচ্ছে। ইংরেজির স্থলে মূলত বাংলায় হচ্ছে এ আইন।’ 


রাজউক সূত্রে জানা যায়, প্রস্তাবিত রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইন ২০২২-এর সারসংক্ষেপ তৈরি করে সম্প্রতি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হয়েছে। সারসংক্ষেপে বলা হয়, ২০১৮ সালের ১৮ জুন মন্ত্রিসভা কমিটির পত্রে সামরিক শাসন আমলে জারি করা অধ্যাদেশগুলোকে আইন আকারে প্রণয়ন এবং ব্রিটিশ ও পাকিস্তান আমলের ইংরেজিতে থাকা আইনগুলো বাংলা ভাষায় প্রণয়নের উদ্যোগ নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই নির্দেশনা মতে আইনটি সংশোধনসহ বাংলায় করা হচ্ছে। সর্বশেষ প্রায় ৩২ বছর আগে ১৯৯১ সালে আইনটির আংশিক সংশোধন করেছিল সরকার। 


রাজউকের একাধিক কর্মকর্তা জানান, পরিকল্পিত ও বাসযোগ্য নগরী গড়ার জন্য রাজধানীর পরিকল্পনা ও উন্নয়ন সমন্বয় করতে অনেক ক্ষেত্রে যুগোপযোগী আইন প্রণয়ন প্রয়োজন। তাই নতুন আইনে মোট ৯টি অধ্যায়, ১০৮টি ধারা এবং ২৯টি সংজ্ঞা রাখা হয়েছে। এর মধ্যে ১৪টি নতুন সংজ্ঞা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বিদ্যমান আইন, বিএনবিসি, মোবাইল কোর্ট আইন ও জলাধার সংরক্ষণ আইনও যুক্ত করা হয়েছে। 


ওই কর্মকর্তারা আরও জানান, বিদ্যমান আইনের মূল কাঠামো ঠিক রেখে প্রস্তাবিত আইনে রাজউক চেয়ারম্যান ও সদস্যদের কমপক্ষে দুই বছরের জন্য নিয়োগ করার বিধান রাখা হয়েছে। সেই সঙ্গে বলা হয়েছে, চেয়ারম্যান পদটি হবে গ্রেড-১ পদমর্যাদার। দুজন সদস্য বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। এ ছাড়া রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের এবং ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন সংস্থার উন্নয়ন কার্যক্রম সমন্বয়ের লক্ষ্যে সমন্বয় কমিটি গঠন করার প্রস্তাব রাখা হয়েছে। নতুনভাবে ভূমি পুনর্বিন্যাস সংযোজন করাসহ বিএনবিসির আলোকে ভবন নির্মাণ ও উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণের বিষয় রাখা হয়েছে। 


কর্তৃপক্ষের পৃথকভাবে ভূমি অধিগ্রহণসংক্রান্ত বিস্তারিত ধারাগুলো ২০১৭ সালের স্থাবর সম্পত্তি অধিগ্রহণ ও হুকুম দখল আইনের আলোকে আগেই বিলুপ্ত করে বিদ্যমান ভূমি অধিগ্রহণ আইনের সঙ্গে সমন্বয় করা হয়েছে।



  • সম্পাদক ও প্রকাশক: ইঞ্জিনিয়ার মো: রায়হানুল ইসলাম

  • উপদেষ্টাঃ মোঃ ইব্রাহীম হায়দার