বিভ্রান্তিকর পোস্ট রিপোর্ট করার সুবিধা সরিয়ে নিল এক্স, অস্ট্রেলিয়ায় উদ্বেগ


, আপডেট করা হয়েছে : 28-09-2023

বিভ্রান্তিকর পোস্ট রিপোর্ট করার সুবিধা সরিয়ে নিল এক্স, অস্ট্রেলিয়ায় উদ্বেগ

আদিবাসীদের অধিকার রক্ষায় অস্ট্রেলিয়ার গণভোটের আগে বিভ্রান্তিকর পোস্ট রিপোর্ট করার সুবিধা সরিয়ে ফেলেছে এক্স (টুইটার)। এই পদক্ষেপে উদ্বেগ প্রকাশ করে ডিজিটাল অ্যাডভোকেসি গ্রুপ নামে একটি অধিকার সংস্থা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটির কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি দিয়েছে। দ্য গার্ডিয়ান এক প্রতিবেদনে এ তথ্য দিয়েছে। 


প্রতিবেদনে বলা হয়, এই সিদ্ধান্ত সংসদে আদিবাসীদের অধিকার রক্ষার আসন্ন গণভোটে অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকদের কীভাবে প্রভাবিত করবে তা চিঠির মাধ্যমে তুলে ধরেছে ডিজিটাল অ্যাডভোকেসি গ্রুপ। এই গ্রুপই সর্বপ্রথম বিষয়টি লক্ষ্য করে। 


চিঠিটিতে বলা হয়, গণভোটের কয়েক সপ্তাহ আগে পোস্ট রিপোর্ট করার সুযোগ সরিয়ে ফেলার মাধ্যমে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ায় পাঁচ ব্যক্তির অ্যাকাউন্ট থেকে রিপোর্ট করে ভোট নিয়ে বিভ্রান্তিকর পোস্ট সরিয়ে ফেলার চেষ্টা করা হয়। 


প্রযুক্তি বিষয়ক ওয়েবসাইট ম্যাশাবল বলছে, ভোটের সময় ভুল তথ্য ছড়ানো বন্ধের টুল ‘মিসলিডিং ইনফরমেশন’ অপশনটি এক্স প্ল্যাটফর্মটিতে পাওয়া যাচ্ছে না। তবে ব্যবহারকারীরা ঘৃণা ও সহিংসতামূলক পোস্ট, স্প্যাম এবং ভুয়া বা ছদ্মবেশি অ্যাকাউন্টকে রিপোর্ট করতে পারবে। 


এক্স প্ল্যাটফর্মে কোনো পোস্টে রির্পোট করা হলে, কোম্পানির কর্মীরা পোস্টগুলো রিভিউ করে থাকে। ২০২১ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়ার এক্স প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারকারীরা কোনো পোস্ট বিভ্রান্তিকর মনে করলে তা রিপোর্ট করতে পারতেন। ফিচারটি ব্রাজিল, ফিলিপাইন ও স্পেনেও ২০২২ সালে চালু করা হয়। ভোটের সময় এই ধরনের টুল খুবই কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারে। তবে দুই সপ্তাহ ধরে টুলটি বন্ধ আছে। 


এক্স প্ল্যাটফর্মে কর্মীদের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক পোস্ট ও নির্বাচনী প্রক্রিয়া সম্পর্কে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার বন্ধে ব্যর্থ হয়ে অস্ট্রেলিয়ার নির্বাচন কমিশন (এইসি) হতাশা প্রকাশ করেছে। 


অস্ট্রেলিয়ার নির্বাচন কমিশনার টম রজার বলেন, কর্মীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়া হুমকি সরিয়ে ফেলা কঠিন একটি কাজ। এটি যে প্ল্যাটফর্মেই হোক না কেন। 


এইসির এক মুখপাত্র বলেন, এক্স প্ল্যাটফর্মের কনটেন্ট শেয়ার করার জন্য কমিশনের নিজস্ব পন্থা রয়েছে এবং সেটি তারা সঠিকভাবে ব্যবহার করে থাকে। 



  • সম্পাদক ও প্রকাশক: ইঞ্জিনিয়ার মো: রায়হানুল ইসলাম

  • উপদেষ্টাঃ মোঃ ইব্রাহীম হায়দার