রাজশাহীতে কাঁচা মরিচের কেজিতে বেড়েছে ৫০ টাকা, পেঁয়াজে ১০


, আপডেট করা হয়েছে : 01-10-2023

রাজশাহীতে কাঁচা মরিচের কেজিতে বেড়েছে ৫০ টাকা, পেঁয়াজে ১০

রাজশাহীর বাজারে সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে মরিচ ও পেঁয়াজের দাম। প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ২৩০ থেকে ২৫০ টাকা আর পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়। গত সপ্তাহেই কাঁচা মরিচের কেজি বিক্রি হয়েছে ১৮০ থেকে ২০০ টাকায়। আর পেঁয়াজ বিক্রি হয় ৮০ টাকায়। এছাড়া অপরিবর্তিত আছে সবজি ও মাছের দাম।  নগরীর সাহেববাজার, সাগরপাড়া, নিউমার্কেট ও শালবাগান ঘুরে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।


রাজশাহীর বাজারে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ২৩০-২৫০ টাকায়। এছাড়া প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৯০ টাকা, ভারতীয় ৬৫ টাকা, আদা ২২০ টাকা, রসুন দেশি ২২০ টাকা, ভারতীয় ১৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।


বিক্রেতারা বলছেন, বৃষ্টির কারণে কাঁচা মরিচ ও পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। আর ক্রেতারা বলছেন, দাম নির্ধারণ করে দেওয়ার পরও বেশি দামে বিক্রি করছে একটি চক্র।


রাজশাহীর মাস্টারপাড়া কাঁচা বাজারের পাইকারি বিক্রেতা জনি হোসেন বলেন, বৃষ্টির জন্য মরিচের গাছ পচে যাওয়ার কারণে দাম বেড়েছে। বর্তমানে কাঁচা মরিচ পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ১৯০ থেকে ২০০ টাকা।


সাহেববাজারের খুচরা বিক্রেতা আলতাফ হোসেন বলেন, মরিচের দাম বেশ বেড়েছে। গত সপ্তাহের চেয়ে কেজিতে ৬০ থেকে ৭০ টাকা বেড়েছে। আজকে মরিচ কিনেছি ২০০ টাকায়। বিক্রি করছি ২৫০ টাকা দরে। আর পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা দরে।


সাহেববাজারের ক্রেতা নিয়ামুল মিয়া বলেন, বাজার তো আগের মতো নাই। বাজার এখন সিন্ডিকেটের দখলে। পেঁয়াজের দাম নির্ধারিত করা হলেও সেটির দাম বেড়েছে।


এদিকে, সপ্তাহের ব্যবধানে মুরগির দাম কিছুটা কমেছে। প্রতি কেজি বয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা দরে। গত সপ্তাহে প্রতি কেজি ব্রয়লার বিক্রি হয়েছিল ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা। সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৭০ টাকা কেজি দরে। গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছিল ২৯০ টাকায়। দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৪২০ টাকা কেজিতে। পাতিহাঁস বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ টাকা কেজিতে।


শনিবার রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা কেজি, কাতলা বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকা, সিলভার কার্প ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাঙাশ বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা, কই প্রতি কেজি ৫৫০ টাকা, দেশি কই ৬৫০ টাকা, বড় তেলাপিয়া বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকা, ছোট তেলাপিয়া ২০০।


এছাড়া ইলিশ বিক্রি হচ্ছে প্রকার ভেদে ৫০০ থেকে ১৬০০ টাকা কেজি। বাগদা চিংড়ি ৯০০ টাকা, গলদা ১২০০ টাকা, মাঝারি চিংড়ি ১৩০০ টাকা, প্রতিকেজি পাবদা বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকা, টেংরা ৬০০ টাকা কেজি, শিং মাছ বিক্রি হচ্ছে কেজি ৬০০ টাকা, বোয়াল বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ টাকা।


বাজারে হল্যান্ড আলু বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা কেজি, দেশি আলু বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজিতে। পটল ৫০ টাকা কেজি, কচু ৮০ টাকা, কাঁচা পেঁপে ৫০ টাকা, কাঁকরোল ৮০, ঢ্যাঁড়শ ৫০, করলা ৪০, শশা ৬০ টাকা, বরবটি ৫০, ঝিঙে ৫০ টাকা, বেগুন ৮০ টাকা, ফুলকপি ৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। মুরগির লাল ডিম ৪৮ টাকা হালি, সাদা ডিম ৪৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংস প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকা, খাসির মাংস এক হাজার টাকা।


রাজশাহী জেলা বাজার মনিটরিং কর্মকর্তা অফ্রিন হোসেন বলেন, চলতি সপ্তাহে কাঁচা মরিচ ও পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। মূলত বৃষ্টির কারণে মরিচের গাছ নষ্ট হওয়ার করণেই দাম বেড়েছে। এছাড়া মুরগির দাম কমেছে। সবজির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। আমরা বাজার মনিটরিং করছি। আশা করছি, দাম কমে যাবে।



  • সম্পাদক ও প্রকাশক: ইঞ্জিনিয়ার মো: রায়হানুল ইসলাম

  • উপদেষ্টাঃ মোঃ ইব্রাহীম হায়দার