নিষেধাজ্ঞার পরও নগরীতে চলছে পুকুর ভরাট


, আপডেট করা হয়েছে : 02-10-2023

নিষেধাজ্ঞার পরও নগরীতে চলছে পুকুর ভরাট

আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে রাজশাহী নগরীর সাগরপাড়া বটতলা বল্লভগঞ্জ বিহারি পাড়ার একটি পুকুর ভরাট করছেন দখলদাররা। রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন এলাকায় পুকুর কিংবা ছোট বড় ডোবা ভরাটের উপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তারপরেও থেমে নেয় দখলদারদের দৌরাত্ম্য। একেক করে রাজশাহী নগরীর এই যাবৎ ১০০টির উপরে পুকুর ভরাট হয়েছে। কোনো রকম বন্ধ হচ্ছেনা।


সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দেখে না দেখার অনেকটা ভান করছেন। অথচ, এই সাগরপাড়া বল্লভগঞ্জ এই পুকুরে পুকুরটি ১৯৫৪ সালে করা হয়েছিলো। আগে পুকুরের চারপাশে মানুষরা সাংসারিক কাজের পাশাপাশি গোসলও করতেন। এখন আর দেখে বোঝার উপায় নেয় চারদিকে এভাবেই টিন দিয়ে ঘিরে ফেলে রাতের আধাঁরে এমনকি দিনের বেলাও ভরাটের কাজ করছেন।


এই বিষয়ে রাবির সাবেক উপাচার্য পানি ও পরিবেশ বিশেষজ্ঞ, চৌধুরী সাওয়ার জাহান বলেন, নগরায়নের ফলে মানুষের সংখ্যা বাড়ছে তাই স্বাভাবিক ভাবেই ভূমির দরকার পরছে। রাসিকের যে পরিকল্পনা যে অঙ্গিকার আছে তা বাস্তবায়নের জন্য এসব রোধে আইন প্রয়োগ করতে হবে। যেকোনো নগরীতে যেটুকুর মানুষ বসবাস করে তার সাথে বসবাসযোগ্য বাড়িঘর যে পরিমাণ জলাধার পরিবেশ থাকা দরকার তা হারিয়ে গেলে পরিবেশ বসবাসের অযোগ্য হয়ে যায়। যেসব সংগঠন এসবের সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ না নিলে পরিবেশের ক্ষতির জন্য তারা দায়ী থাকবে।


রাসিক, আরডিএ সুস্থ নগরীর গড়ার জন্য যে রেশিও গুলো যেমন সবুজ গাছপালা, জলাধার আছে তা সামলাতে হবে। নইলে পরিবেশ ক্ষতির মধ্যে পরবে। নগরীর জলাধার হারিয়ে গেলে ভারসাম্য হারাবে। আর সুস্থ নগরী গড়ে তুলতে হলে এখন থেকেই পুকুর গুলো ভরাট বন্ধ করতে হবে। তা না হলে পরে চরম বিপাকের মধ্যে পরতে হবে রাজশাহী নগরবাসীকে।



  • সম্পাদক ও প্রকাশক: ইঞ্জিনিয়ার মো: রায়হানুল ইসলাম

  • উপদেষ্টাঃ মোঃ ইব্রাহীম হায়দার