ওমানপ্রবাসীর খপ্পরে নিঃস্ব ১০ পরিবার


, আপডেট করা হয়েছে : 03-10-2023

ওমানপ্রবাসীর খপ্পরে নিঃস্ব ১০ পরিবার

রংপুরের গঙ্গাচড়ার রবিউল ইসলাম থাকতেন ওমানে। সেখানে মুদিদোকানের ব্যবসা করতেন। নিজ গ্রামের বেকার যুবকদের ওমানে উচ্চ বেতনের চাকরির প্রলোভন দেখাতেন। ১০ জনকে ওমানে নিয়েও যান। এর বিনিময়ে হাতিয়ে নেন অর্ধকোটি টাকা। তবে তাঁর মাধ্যমে যাওয়া যুবকেরা গিয়ে কাজ পাননি। এক বছর বেকার থেকে বাড়ি থেকে টাকা নিয়ে তাঁরা দেশে ফিরে এসেছেন। রবিউলের ফাঁদে পড়ে এসব যুবক ও তাঁদের পরিবার এখন নিঃস্ব। ফিরে আসা তিনজন রবিউলের নামে গঙ্গাচড়া মডেল থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। তবে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ।


লেবু মিয়া, দুদু মিয়া ও মো. মোশারফ গত ১৯ সেপ্টেম্বর গঙ্গাচড়া মডেল থানায় পৃথকভাবে লিখিত অভিযোগ করেন। এতে রবিউল ইসলাম (৩৮) ছাড়াও সহযোগী হিসেবে তাঁর ভাই শফিকুল ইসলাম (৪৫), রফিকুল ইসলাম (৪২) ও ভগ্নিপতি হামিদুল ইসলামের (৪৫) নাম উল্লেখ করা হয়েছে।


অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, রবিউলের বাড়ি উপজেলার আলমবিদিতর চৌধুরীপাড়া গ্রামে। তিনি প্রায় ১০ বছর ধরে ওমানে একটি ছোট্ট মুদিদোকানের ব্যবসা করেন। সেই সুবাদে তাঁর গ্রামের কিছু বেকার যুবককে ওমানের বেসরকারি কোম্পানিতে বাংলাদেশি টাকায় মাসে ৭০ হাজার টাকা বেতনে কাজ দেওয়ার লোভ দেখান। এক বছর আগে তাঁদের কাছ থেকে প্রায় অর্ধকোটি টাকা হাতিয়ে নেন রবিউল। তাঁদের ‘ফ্রি ভিসায়’ ওই দেশে পাঠানো হয়। সেখানে যাওয়ার পর ওই যুবকদের কোনো কোম্পানিতে কাজ দেওয়া হয়নি। কাজ দেওয়ার কথা বলে কালক্ষেপণ করতে থাকেন রবিউল।


 এভাবে তাঁরা প্রায় এক বছর বেকার ছিলেন। একপর্যায়ে তাঁরা কাজের জন্য চাপ দিলে মুদিদোকানটি গোপনে বিক্রি করে তিন মাস আগে পালিয়ে বাংলাদেশে চলে আসেন রবিউল। বিষয়টি জানতে পেরে ভুক্তভোগীরাও সম্প্রতি বাড়ি থেকে টাকা নিয়ে দেশে ফিরে আসেন। এরপর তাঁরা রবিউলের কাছে টাকা ফেরত চাইলে পাল্টা রবিউলই ওই তিনজনের বিরুদ্ধে প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ এনে থানায় অভিযোগ করেন।



  • সম্পাদক ও প্রকাশক: ইঞ্জিনিয়ার মো: রায়হানুল ইসলাম

  • উপদেষ্টাঃ মোঃ ইব্রাহীম হায়দার