যে কোনো সংকটময় পরিস্থিতিতে চীন সর্বদা বাংলাদেশের পাশে থাকবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন। গতকাল বুধবার ঢাকার সাভারে এনাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। এর আগে বেসরকারি ওই হাসপাতালে ডেঙ্গু পরীক্ষার কিট হস্তান্তর করেন রাষ্ট্রদূত।
রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, আমরা (বাংলাদেশ ও চীন) বন্ধু। আমরা সবসময় একে অপরের পাশে ছিলাম। যখনই কারও সংকট হয়েছে, চীন বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছে। তিনি বলেন, কিছু মানুষ তারা গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও নির্বাচন নিয়ে সজাগ রয়েছে। কিন্তু অন্যদিকে নিষেধাজ্ঞা ও ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে। কিন্তু চীন কখনোই এটি করেনি। চীন বাংলাদেশের মানুষ ও জনগণকে সবসময় সহযোগিতা করেছে। চীন ও বাংলাদেশের জনগণ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের মধ্য দিয়ে উন্নয়নের কাজ করে যাচ্ছে।
এর আগে, লিখিত বক্তব্যে চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, বাংলাদেশে ডেঙ্গুর মারাত্মক পরিস্থিতি চলছে। অনেকেই মারা গেছেন। ডেঙ্গু আক্রান্তদের সেবায় ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মীরা মাসের পর মাস পরিশ্রম করছেন। চীন সবসময় বাংলাদেশের বন্ধু ও কৌশলগত সহযোগী হিসেবে কাজ করেছে।
আগস্টে জোহানেসবার্গে প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করেন। প্রেসিডেন্ট সেখানে বাংলাদেশকে সহযোগিতার ওপর জোর দেন। প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং ও চীন সরকার বাংলাদেশের ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন। এজন্য চীন বাংলাদেশকে ৩.৫ মিলিয়ন সহযোগিতা দেবে।
এরই ধারাবাহিকতায় চীনা দূতাবাস এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৭০০ সেট ডেঙ্গু কীট দিয়েছে। যা দিয়ে ১৮ হাজারের বেশি মানুষের ডেঙ্গু পরীক্ষা করা যাবে। আগামী সপ্তাহে চীন আরও ডেঙ্গু পরীক্ষার কীট পাঠাবে।
ডেঙ্গুকীট হস্তান্তর শেষে দুর্যোগ ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বলেছেন ডেঙ্গুতে তিনি সহযোগিতা করবেন। তারই ধারাবাহিকতায় এই প্রথম ডেঙ্গু কীট এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হস্তান্তর করা হলো। আরও আসবে। সেগুলো বিভিন্ন হাসপাতালে দেওয়া হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে চীন দূতাবাসের ফাস্ট সেক্রেটারি লি জিয়ান, ল্যাং ল্যাং ও জিং চ্যান প্রমূখ।