সার্বভৌম গ্যারান্টিতে অনেকে বিদেশি সংস্থা থেকে ঋণ নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছে। সেই ঋণ আবার সরকারকেই পরিশোধ করতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে অনুষ্ঠিত উন্নয়ন সংলাপে তিনি এসব কথা বলেন। মধ্যপ্রাচ্যের সংকট দেশের অর্থনীতির জন্য চিন্তার বিষয় হলেও তা সংকটের নয় বলেও জানান তিনি। সেই সঙ্গে উন্নয়ন চাইলে যানজট হজম করার কথাও বলেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী।
ব্র্যাক ব্যাংক ও পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় ‘বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ডায়ালগ’র আয়োজন করে সোশ্যাল ইনোভেশন ফর বাংলাদেশ-এসআইডি। এতে উঠে আসে উন্নয়ন ধরে রাখার নানা চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা। সংলাপ সঞ্চালনা করেন সংস্থাটির চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার অ্যাডওয়ার্ড অপূর্ব সিংহ। আলোচক ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান, পিকেএসএফ’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. নমিতা হালদান, ব্র্যাক ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর সৈয়দ আব্দুল মোনেম এবং ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. আব্দুস সাত্তার মন্ডল।
সংলাপে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, এসএমই খাত দেশের অর্থনীতির ভিতকে শক্তিশালী করলেও তারা ঋণ পায় না শুধু প্রশংসা করা হয়। অনেক বড় প্রতিষ্ঠান সরকারি গ্যারান্টি নিয়ে বিদেশি সংস্থা থেকে ঋণ নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছে। আর সরকারকে তা পরিশোধ করতে হচ্ছে। যা সাধারণ মানুষ জানে না। পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধ দেশের মূল্যস্ফীতির ওপর চাপ সৃষ্টি করেছে। দেশে নতুন করে মূল্যস্ফীতি বাড়লেও সরকার তা মোকাবিলা করবে বলেও জানান পরিকল্পনামন্ত্রী। তিনি বলেন, যদি সঠিকভাবে কাজ করা যায় তাহলে রিজার্ভ সংকট কাটিয়ে উঠতে সময় লাগবে না।
ঢাকার অসহনীয় যানজট প্রসঙ্গে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আমরা উন্নয়ন চাই কিন্তু উন্নয়নের ব্যথা সহ্য করতে পারি না। পাশের দেশ ভারত ও থাইল্যান্ডের ট্রাফিক পরিস্থিতি ভয়াবহ ছিল। কিন্তু এখন নেই। আমাদের সেই সময়টা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। তাই উন্নয়নের জন্য এখন যানজট হজম করতে হবে। কিছুদিন পরই এর সুবিধা পাবেন।
ড. আতিউর রহমান বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের সংকট বৈশ্বিক সরবরাহ ব্যবস্থাকে বিপর্যস্ত করতে যাচ্ছে আবারও। ইতোমধ্যে জ্বালানি তেলের দাম বাড়তে শুরু করেছে। দেশের অর্থনীতিতেও অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে। এসব অনিশ্চয়তা থেকে বের হতে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রকৃত আর্থিক খাতে অর্থায়ন করতে হবে। দেশের নিত্যপণ্যের বাজার ও সার্বিক মূল্যস্ফীতিতে নতুন করে অস্থিরতা ছড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে।