বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ নাইকো দুর্নীতি মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য কানাডার দুই পুলিশ কর্মকর্তার প্রতি সমন জারি করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯-এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান সমন জারির আদেশ দেন বলে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী খুরশিদ আলম খান জানান।এদিকে আজ বৃহস্পতিবার খালেদা জিয়াসহ অন্য আসামিদের পক্ষে মামলার বাদীকে জেরা করা শেষ হয়েছে। আদালত পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ৩০ অক্টোবর দিন ধার্য করেন।
ঢাকার কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রধান ফটকে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯-এর অস্থায়ী এজলাসে তৃতীয় দিনের মতো খালেদা জিয়ার পক্ষে জেরা করা হয়। পরে অন্য আসামিদের পক্ষে জেরা করা হয়।
এরপর দুদকের পক্ষে আইনজীবীরা কানাডার রয়্যাল মাউন্টেড পুলিশের দুই কর্মকর্তা কেভিন ডুগান ও লাইওড স্কোয়েপকে আদালতে হাজির হয়ে সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য সমন জারির আবেদন করেন। আদালত আবেদন মঞ্জুর করেন।
এর আগে গত ১৭ সেপ্টেম্বর এই দুই কর্মকর্তার সঙ্গে এফবিআইয়ের কর্মকর্তা ডেবরা ল্যাপ্রেভোট গ্রিফিতকে মামলায় সাক্ষী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করেন আদালত। এঁদের মধ্যে দুজনের প্রতি সমন জারি হলো। অপরজনকে সাক্ষ্য দিতে পরে সমন জারি করা হবে বলে দুদকের আইনজীবী জানান।
এই তিনজনই নাইকো কেলেঙ্কারি নিয়ে এর আগে তদন্ত করেছেন।
আজ খালেদা জিয়ার পক্ষে অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম জেরা করেন। এর আগে মামলার বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ শেষ হয় গত ১৭ সেপ্টেম্বর। গত ২৩ মে এই মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়।
এই মামলার অপর আসামিরা হলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, বাগেরহাটের সাবেক সংসদ সদস্য এম এ এইচ সেলিম এবং নাইকোর দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।
এঁদের মধ্যে খালেদা জিয়ার পক্ষে তাঁর আইনজীবী হাজিরা দেন। আসামি গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।
সাবেক মন্ত্রী মওদুদ আহমদ, এ কে এম মোশারফ হোসেন ও বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান মৃত্যুবরণ করায় ইতিপূর্বেই তাঁদের মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া বাকিরাও আদালতে উপস্থিত ছিলেন।