‘মানুষ’ সিনেমাটি ভারতের সঙ্গে একই দিনে বাংলাদেশেও মুক্তির ঘোষণা এসেছে...
এবারই প্রথম টালিউডের কোনো সিনেমা একসঙ্গে বাংলাদেশে মুক্তি পাচ্ছে। শুধু বাংলা ভাষায় নয়, প্যান ইন্ডিয়ান সিনেমা হিসেবে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে হিন্দিতেও মুক্তি পাবে। এ সিনেমার আমিও একটি অংশ, তাই ভালো লাগাটা একটু বেশি কাজ করছে।
আমি একটি অতিথি চরিত্রে অভিনয় করেছি। এই প্রথম অতিথিশিল্পী হিসেবে কোনো সিনেমায় কাজ করলাম। দারুণ গল্প নিয়ে তৈরি হয়েছে মানুষ। সব মিলিয়ে বিগ স্কেলের সিনেমা। দর্শকের ভালো লাগবে। টিজার প্রকাশের পর থেকে সবাই যে আগ্রহ দেখাচ্ছে, তা সত্যি ভালো লাগার। আশা করি সিনেমা মুক্তির পরেও এই ভালো লাগা বজায় থাকবে।
বাংলাদেশের নির্মাতা সঞ্জয় সমদ্দারের প্রথম সিনেমা এটি। তাঁর কাজ কেমন লেগেছে?
খুব ভালো করেছেন। প্রথম সিনেমা হলেও সঞ্জয় দাদা ইতিমধ্যে অনেক ভালো নাটক উপহার দিয়েছেন আমাদের। তাঁর সঙ্গে এর আগে আমার কাজের অভিজ্ঞতা আছে। তাই তাঁর প্রতি আমার বিশ্বাস ছিল। সেই বিশ্বাসের প্রতিফলন শুটিং সেটে পেয়েছি।
জিতের সঙ্গে ‘সুলতান’-এ অভিনয় করেছিলেন। অনেক দিন পর তাঁর সঙ্গে আবার কাজ হলো...
জিৎদা আমার পছন্দের মানুষ। অনেক আগে থেকে আমি তাঁর ভক্ত। অনেক দিন পর আবার তাঁর সঙ্গে কাজ করলাম। জিৎদার সঙ্গে কাজ করলে মনেই হয় না তিনি এত বড় সুপারস্টার। এবারের অভিজ্ঞতাও অনেক ভালো ছিল। সবচেয়ে স্বাচ্ছন্দ্যের জায়গা ছিল, এ প্রডাকশন টিমের সঙ্গে আগেও কাজ করেছি। নির্মাতাও আমাদের দেশের। মনেই হয়নি দেশের বাইরে গিয়ে শুটিং করছি।
‘পরাণ’, ‘দামাল’ ও ‘অন্তর্জাল’ সিনেমার পর মিমের প্রতি দর্শকদের প্রত্যাশা বেড়ে গেছে। এটা কি বাড়তি কোনো চাপ তৈরি করেছে?
দর্শকের ভালোবাসায় আমি মুগ্ধ। তাদের এই ভালোবাসা চাপ হিসেবে নয়, অনুপ্ররণা হিসেবে নিচ্ছি। আমি আগে থেকেই বেছে বেছে কাজ করি। মাথায় সব সময় এটা থাকে যে চাইলেই অনেক সিনেমায় সাইন করা যাবে না। ‘পরাণ’ হিট হওয়ার পর অনেক চিত্রনাট্য পেয়েছি। চাইলেই অনেক সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হতে পারতাম। আমি কিন্তু তা করিনি। পরাণ মুক্তির পর মাত্র দুটি সিনেমায় কাজ করেছি—মানুষ ও দিগন্তে ফুলের আগুন। আশা করি এ দুটিও সবার ভালো লাগবে।
শুরু থেকেই ‘দিগন্তে ফুলের আগুন’ নিয়ে অনেক আলোচনা চলছে। প্রথম কারও বায়োপিকে কাজ করলেন। শুটিং কি শেষ?
শুটিং শেষ হয়েছে। পান্না কায়সারের লেখা ‘মুক্তিযুদ্ধ: আগে ও পরে’ অবলম্বনে তৈরি হয়েছে সিনেমাটি। পরিচালনায় ওয়াহিদ তারেক। এতে পান্না কায়সারের চরিত্রে অভিনয় করেছি। এ সিনেমার গল্প অনেক স্পর্শকাতর। বাস্তব ঘটনা হলেও এটা সিনেমার গল্পকেও হার মানায়। নির্মাতা খুব গুছিয়ে কাজটি করেছেন।
সাইন করার পর থেকেই পান্না কায়সারকে নিয়ে অনেক পড়াশোনা করেছি। একটা নারী তাঁর জীবনে কতটা সংগ্রাম করতে পারেন, এ সিনেমা করতে গিয়ে বুঝেছি। তবে একটি দুঃখ আমার মধ্যে সব সময় থেকে যাবে। যখন ঠিক হলো আমি সিনেমাটি করছি, তখন থেকেই পান্না কায়সারের সঙ্গে দেখা হওয়ার বিষয়ে কথা হচ্ছিল। উনি তখন অসুস্থ থাকায় হয়ে উঠছিল না। যেদিন দেখা হওয়ার কথা, সেদিনই তিনি আমাদের ছেড়ে চলে যান। কী যে খারাপ লেগেছিল, তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না।
এ বছরের শুরুতে নতুন আরেকটি সিনেমার খবর শোনা গিয়েছিল। সেটার কোনো আপডেট আছে?
ফেব্রুয়ারির দিকে সুমন ধরের ‘আমি ইয়াসমিন বলছি’ সিনেমায় সাইন করেছিলাম। এ বছরই সিনেমাটির শুটিং শুরু হওয়ার কথা। তবে এখনো কোনো আপডেট পাইনি।