সারা দেশে বিএনপি–জামায়াতের ডাকা হরতাল চলছে। হরতাল চলাকালীন রাজধানীর গাবতলীতে যানবাহন কম, যাত্রীও কম দেখা গেছে। তবে বেলা যত বাড়ছে গাড়ির সংখ্যাও বাড়ছে। সড়কে যানবাহন কম থাকলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। হরতালের মধ্যে যারা অফিসে যাওয়ার জন্য বের হয়েছেন, তাঁরা অনেকেই গাড়ি না পেয়ে ভোগান্তিতে পড়েছেন।
আজ রোববার সকাল ১০টা পর্যন্ত সরেজমিন দেখা গেছে, টেকনিক্যাল মোড়, মাজাররোড ও গাবতলী বাস টার্মিনালের বিভিন্ন মোড় ও কাউন্টারের সামনে র্যাব ও পুলিশের টহল। টার্মিনালে যাত্রী নেই। দূরপাল্লার বাসও আসছে কম। টার্মিনাল থেকে দূরপাল্লার বাসও ছাড়ছে না।
দূরপাল্লার বাস কম ছাড়লেও গাবতলীতে কিছুক্ষণ পর পর সিটি বাস চলাচল করছে। গাবতলী থেকে যাত্রাবাড়ীতে যাওয়া ৮ নম্বর বাসের চালক সজল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা গাড়ি না চালালে খাব কী, তাই গাড়ি নিয়ে নেমেছি। যাত্রী কম, তবে ধীরে ধীরে বাড়তে পারে।’
শাহ আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেওয়ার চেষ্টা করছি। সড়কে পর্যাপ্ত পুলিশ রয়েছে। যাত্রী ও চালকেরা নির্ভয়ে চলাচল করতে পারেন।’
এ দিকে দারুসসালাম, আনসার ক্যাম্প, টোলারবাগ, মিরপুর ১ ও ২ নম্বরেও রাস্তার মোড়ে মোড়ে পুলিশ দেখা গেছে। মিরপুর থেকে বিভিন্ন রুটের কম গাড়ি চলাচল করছে। বিভিন্ন বাস স্ট্যান্ডে অফিসে যাওয়ার জন্য অপেক্ষমাণ যাত্রী দেখা গেছে।
সাইফ উদ্দিন নামে এক ব্যক্তি মতিঝিল যাওয়ার জন্য মিরপুরের আনসার ক্যাম্প স্ট্যান্ডে অপেক্ষা করে প্রায় আধঘণ্টা পর বাস পেয়েছেন। তিনি বলেন, ‘বাস কম তাই যাত্রী ছিল ঠাসা, বাসে উঠতে পারিনি।’
গণপরিবহন কম থাকায় অনেকে মোটরসাইকেল, রিকশা ও সিএনজি চালিত অটোরিকশায় অফিস ও গন্তব্যে গেছেন।
দারুস সালাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আমিনুল বাশার বলেন, ‘গতকাল রাত থেকেই সড়কে টহল পুলিশ বাড়ানো হয়েছে। কোনো সমস্যা নেই। আমরা সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করছি।’