ভারত-ভুটানসহ প্রতিবেশীরা সৈয়দপুর বিমানবন্দর ব্যবহার করতে চায়


, আপডেট করা হয়েছে : 29-10-2023

ভারত-ভুটানসহ প্রতিবেশীরা সৈয়দপুর বিমানবন্দর ব্যবহার করতে চায়

ভারত-ভুটানসহ আমাদের প্রতিবেশী দেশ ব্যবসা-বাণিজ্য ত্বরান্বিত করতে সৈয়দপুর এয়ারপোর্ট ব্যবহার করতে চায় বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা টিপু মুনশি এমপি। তিনি বলেন, ‘বর্তমানে প্রতিদিন সৈয়দপুর বিমানবন্দরে ১৫-২০ ফ্লাইট ওঠানামা করছে। অথচ এক সময় বলা হতো বিমানে ওঠার মতো লোক পাওয়া যাবে না।’ গতকাল সন্ধ্যায় রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউয়ে সেচ ভবনে আয়োজিত রংপুর বিভাগ সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির (২০২৩-২৬) অভিষেক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা জানান।


উত্তরবঙ্গে বেশি করে শিল্প-কারখানা ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘উত্তরবঙ্গ অনেক সম্ভাবনাময় একটি অঞ্চল। ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য অনুকূল পরিবেশ বিরাজমান। কৃষি খাতে বিনিয়োগের করার ব্যাপক সুযোগ রয়েছে। ব্যবসায়ীরা এগ্রো ফুড প্রসেসিংসহ বিভিন্ন শিল্প-কারখানা তৈরি করে লাভবান হতে পারবেন। এরই মধ্যে অনেক বিনিয়োগকারী বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।’


 


টিপু মুনশি বলেন, ‘ভারত, ভুটানসহ আমাদের প্রতিবেশী দেশ ব্যবসা-বাণিজ্য ত্বরান্বিত করতে সৈয়দপুর এয়ারপোর্ট ব্যবহার করতে চায়। বর্তমানে প্রতিদিন সৈয়দপুর বিমানবন্দরে ১৫-২০ ফ্লাইট ওঠানামা করছে। অথচ এক সময় বলা হতো বিমানে ওঠার মতো লোক পাওয়া যাবে না।’ এ এয়ারপোর্টকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করতে এ অঞ্চলের রাজনীতিবিদ, আমলা, ব্যবসায়ীসহ সংশ্লিষ্টদের কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।


মন্ত্রী বলেন, ‘পঞ্চগড়ে এখন উন্নতমানের চা উৎপাদন হচ্ছে। দেশের ১৬-১৭ ভাগ চায়ের চাহিদা পূরণ করছে। প্রতি বছর উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে। সম্প্রতি দেশের তৃতীয় চা নিলাম কেন্দ্রের উদ্বোধন করা হয়েছে। সেখানে অনেক মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে।’


টিপু মুনশি বলেন, ‘উত্তরবঙ্গ হচ্ছে দেশের শস্যভাণ্ডার। ঘরে ঘরে খাবার আছে বলে খেয়ে-শুয়ে থাকলে হবে না। আমাদের আরো বেশি সচেতন ও কৌশলী হতে হবে।’ এ সময় এলাকার মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য সরকারি কর্মকর্তাসহ ব্যবসায়ী ও বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহবান জানান।


অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ বলেন, ‘রংপুর বিভাগের কর্মকাণ্ড সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে হবে। সমিতির নবনির্বাচিত কমিটি সংগঠনকে সুসংগঠিত করে আরো সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নেবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।’


সাবেক সচিব ও রংপুর বিভাগ সমিতির সভাপতি মো. নুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ভূমি সচিব মো. খলিলুর রহমান ও রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন। 


ট্যুরিস্ট পুলিশের উপ-মহাপুলিশ পরিদর্শক ও সাধারণ সম্পাদক মো. আবুল কালাম আজাদ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন। এ সময় রংপুর বিভাগের সরকারি-বেসরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও ঢাকায় বসবাসরত বিভিন্ন পেশাজীবী ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।


উল্লেখ্য, গত ২৫ মে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে অনুষ্ঠিত বার্ষিক সাধারণ সভায় রংপুর বিভাগ সমিতি ঢাকার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়। এরপর ১৩ জুন জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের পক্ষ থেকে ওই কমিটি অনুমোদনের পর ৭১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়।



  • সম্পাদক ও প্রকাশক: ইঞ্জিনিয়ার মো: রায়হানুল ইসলাম

  • উপদেষ্টাঃ মোঃ ইব্রাহীম হায়দার