ফকিরাপুলে দলবিচ্ছিন্ন হয়ে বেধড়ক মারধরে নিহত হন। পুলিশের একটি সূত্র বলেছে, সংঘর্ষের সময় কেউ কেউ দল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন। কাঁদানে গ্যাসের শেল বা সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে নিরাপদে সরে আসার চেষ্টা করলেও গ্যাসগান ঠিকমতো কাজ করেনি। ফলে তাঁরা মারধরের শিকার হন।
রমনা থানা-পুলিশের এক সদস্য বলেন, গ্যাসগান ঠিকমতো কাজ করে না। বলতে গেলে একপ্রকার অকেজো হয়ে পড়েছে। পুলিশসংশ্লিষ্ট একটি সূত্র বলেছে, ২০১০ সালে যুক্তরাজ্য থেকে গ্যাসগান কিনেছিল বাংলাদেশ পুলিশ। সেই চালানের গ্যাসগানই সে সময় ডিএমপিতে দেওয়া হয়েছিল। এরপর ২০১৮ সালে অস্ত্রের আরেকটি চালান কেনা হলেও সেই গ্যাসগানগুলো ডিএমপিতে আসেনি।
এদিকে দাঙ্গা দমনে নিয়োজিত একাধিক পুলিশ সদস্য বলেন, শুধু রাজনৈতিক সহিংসতা বা নানা ইস্যুতে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গের দায়িত্ব থাকে পুলিশের ওপর। কিন্তু কোন পরিস্থিতিতে কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে—এমন বিশেষ কোনো প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা পুলিশ সদস্যদের নেই। ফলে উপস্থিত বুদ্ধিতে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করা হয়।
তবে ডিএমপির গণমাধ্যম শাখা বলেছে, দুই মাস ধরে পূর্বাচলে বেআইনি সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করার কৌশলসংক্রান্ত একাধিক মহড়া করা হয়েছে। এই ধরনের মহড়া নিয়মিত করার পরিকল্পনা ডিএমপির রয়েছে।
মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ সায়েন্স বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ উমর ফারুক বলেন, উন্নত দেশের পুলিশকে প্রতিটি ইভেন্ট মোকাবিলার জন্য আলাদা কৌশল শেখানো হয়। কিন্তু বাংলাদেশে এখনো ‘ট্র্যাডিশনাল পুলিশিং’ চলছে। অস্ত্রগুলোও তেমন।