বগুড়ার নন্দীগ্রামে ফেসবুক স্ট্যাটাসে নেতা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের বেইমান আখ্যায়িত করে উপজেলা ছাত্রদলের সহ-সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক পদ থেকে সরে গেলেন মাসুদ রানা।
রানা বলেন, তিনি শিক্ষার্থী; রাজনৈতিক কোনো ঝামেলায় না জড়াতে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। শিগগিরই লিখিতভাবে পদত্যাগ করবেন।
জানা গেছে, মাসুদ রানা বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলা ছাত্রদলের এক বছর আগে গঠিত কমিটির সহ-সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক। তিনি উপজেলার ভাটগ্রাম ইউনিয়নের কাথম গ্রামের তোতা মিয়ার ছেলে।
বিএনপি ও জামায়াতের ডাকা অবরোধের দ্বিতীয় দিন সোমবার নেতাকর্মীদের সঙ্গে দলীয় কর্মসূচি পালন করেন। দুপুরে নিজের ফেসবুক পেজে স্ট্যাটাস দিয়ে দলীয় পদ ত্যাগের ঘোষণা দেন।
রানা স্ট্যাটাসে লিখেছেন- ‘রাজনীতিকে বিদায় দিতে বাধ্য হলাম। কিছু সুবিধাভোগী নেতা ও তার পরিবারের সদস্যের মিথ্যা-বেইমানির কারণে আমার দলীয় পদ থেকে সরে দাঁড়ালাম। আশা করি কেউ আমাকে এ ব্যাপার নিয়ে ভুল বুঝবেন না।’
এ প্রসঙ্গে মাসুদ রানা বলেন, তিনি শিক্ষার্থী নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে ব্যস্ত। কোনো রাজনৈতিক ঝামেলায় জড়িয়ে নিজের ভবিষ্যৎ নষ্ট ও পরিবারকে কষ্ট দিতে চাই না। এছাড়া নিজের ওয়ার্ডের দলীয় নেতাদের কারণে তিনি ক্ষুব্ধ। তাই ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে পদত্যাগ করেছি। শিগগিরই লিখিতভাবে আবেদন করে পদত্যাগ করব।
উপজেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান তারেক বলেন, ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে পদত্যাগ করা যায় না। ওয়ার্ড নেতাদের সঙ্গে তার (রানা) সমস্যা হলে উপজেলা নেতাদের কাছে অভিযোগ করতে পারতেন। আলোচনা করে সমস্যা সমাধান করা যেত। এরপরও তিনি পদত্যাগ করতে চাইলে উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক বা দপ্তর সম্পাদকের কাছে লিখিতভাবে আবেদন করতে হবে।