নাটোরের লালপুরের প্রতিমা শিল্পীরা ন্যায্য মজুরি না পাওয়ায় বাজার মূল্যের উর্ধ্বগতিতে সংসার চালাতে হিমসিম খাচ্ছেন। তাদের দুর্দিন কাটছে না।
শনিবার (১১নভেম্বর ২০২৩) সরেজমিন দেখা যায়, উপজেলার বুধপাড়া কালী মন্দিরে প্রতিমা নির্মাণ করছেন জোতদৈবকী গ্রামের শ্রী সুকুমার চন্দ্র হালদার (৬৪)। তিনি বলেন, দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম এই কালী প্রতিমার উচ্চতা ৩৩ ফুট। তিনি ১৯৯৮ সাল থেকে এই প্রতিমা নির্মাণ করছেন। এতে সময় লাগে ১২ থেকে ১৫ দিন। তাঁর সহযোগী ছেলে সনজিত চন্দ্র হালদার (৩৭) ছাড়াও রয়েছেন, বিনয় চন্দ্র হালদারের ছেলে বিধান কুমার হালদার (২২) ও বলায় চন্দ্র হালদারের ছেলে পুলক কুমার হালদার (১৭)।
তিনি আরও বলেন, এ বছর ৫০ হাজার টাকা চুক্তিতে ৪ জন মিলে প্রতিমা নির্মাণ করছেন। প্রতিমা নির্মাণ সামগ্রী উপযুক্ত মাটি, খড়, বাঁশ, রঙ ও সাজসজ্জা সামগ্রির দাম বেড়ে যাওয়ায় পারিশ্রমিকের টাকাও থাকে না। অভাবের তাড়নার দুর্দিন কাটছে না। একজন শিল্পীর উপার্জনের চেয়ে দিনমজুরের উপার্জন বেশি হয়। তাহলে শিল্পীর সম্মান কোথায় থাকে?
এছাড়া উপজেলার বিলমাড়িয়া ঘোষপাড়া গ্রামের অসীত কুমার হালদার, গোপালপুর পৌরসভার মুকুল কুমার প্রতিমা নির্মাণ শিল্পী হিসেবে কাজ করেন।
বুধপাড়া মন্দিরে কালীপূজা রোববার (১২ নভেম্বর ২০২৩) দিবাগত মধ্যরাতে শুরু হয়ে আগামী সোমবার (২০ নভেম্বর) প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে। উপমহাদেশের প্রাচীনতম এই কালী পূজামন্ডপে ৯ দিন ব্যাপী দেশ-বিদেশের দর্শনার্থীর পদচারণায় মুখরিত উৎসবে শতাধিক পাঠা বলি হয়ে থাকে।