ডলার পাচার রোধে কঠোর নজরদারি


, আপডেট করা হয়েছে : 13-11-2023

ডলার পাচার রোধে কঠোর নজরদারি

দীর্ঘ দিন ধরেই দেশে ডলার সংকট চলছে। মূলত রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণেই এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এমন পরিস্থিতির মধ্যেই দেশ থেকে ডলার পাচারের চেষ্টা করছে চোরাকারবারিরা। মূলত কিছু মানি একচেঞ্জের মাধ্যমে ডলার পাচারের ঘটনা ঘটছে। এমন ৪২টি কোম্পানিকে নোটিশ দিয়েছে এবং ২২টির কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নির্বাচন ঘনিয়ে এলে ডলার পাচারের আশঙ্কা আরও বাড়তে পারে। এমন পরিস্থিতিতে স্থল সীমান্ত ও বিমানবন্দরে গোয়েন্দা নজরদারি আরও বাড়ানোর পাশাপাশি অভিযান চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।


গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, গত দুই বছর ধরে দেশে ডলার সংকট চলছে। এমন সুযোগে ইচ্ছামতো দামে খোলাবাজারে ডলার বেচাকেনা হচ্ছে। এসব ডলার বেচাকেনার সঙ্গে জড়িত অনেক মানি একচেঞ্জ কোম্পানি। বেচাকেনা হওয়া ডলার আবার দেশের বিভিন্ন স্থল সীমান্ত ও বিমানবন্দর দিয়ে পাচারের চেষ্টাও হচ্ছে। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ডলার পাচারের প্রবণতা আরও বাড়তে পারে। এমন আশঙ্কায় স্থল সীমান্তে ও বিমানবন্দর দিয়ে ডলার পাচার ঠেকাতে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানোর পাশাপাশি প্রয়োজনে অভিযান চালানোর নির্দেশ দেয় সরকার।


বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা মোতাবেক আকাশপথে মুদ্রা পাচার ঠেকাতে বিশেষ নজরদারিতে রয়েছে ঢাকার হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, চট্টগ্রামের শাহ আমানত বিমানবন্দর এবং সিলেটের এমএজি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে, গোয়েন্দা নজরদারিও ত ত বাড়ানো হচ্ছে। বাড়তি সর্তকর্তার সঙ্গে যাত্রীদের লাগেজ তলস্নাশি অব্যাহত রয়েছে। বাড়ানো হয়েছে বিমানবন্দরের মানি একচেঞ্জ বুথগুলোর ওপর গোয়েন্দা নজরদারি। মুদ্রা পাচাররোধে ভিআইপি যাত্রীদেরও তলস্নাশির আওতায় আনা হয়েছে।



  • সম্পাদক ও প্রকাশক: ইঞ্জিনিয়ার মো: রায়হানুল ইসলাম

  • উপদেষ্টাঃ মোঃ ইব্রাহীম হায়দার