চিড়িয়াখানায় খাঁচায় আটকে থাকা নানা প্রাণী থেকে দিনভর বিনোদিত হয় মানুষ। কিন্তু রাতের বেলা চিড়িয়াখানার চিত্র পুরোটাই পাল্টে যায়। চিড়িয়াখানায় নিশাচর প্রাণী ছাড়া নিদ্রার আশ্রয় নেয় সব প্রাণী। রাতেই এই ফাঁকা চিড়িয়াখানাতেই দেখা মিলেছে অদ্ভূত দর্শন প্রাণীর। খাঁচার বাইরে থাকা ওই প্রাণীকে অদ্ভূত বলার অবশ্য কারণ আছে। প্রাণীটি দেখতে অনেকটা নেকড়ের মতো হলেও মানুষের মতো দু পায়ে ভর দিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের আমারিলো চিড়িয়াখানার সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়েছে সেই অদ্ভূত প্রাণীর দাঁড়িয়ে থাকার দৃশ্য। গত সপ্তাহে আমারিলো চিড়িয়াখানার ঘেরের বেড়ার বাইরে অন্ধকারে লুকিয়ে থাকা প্রাণীটির ছবি সিসিটিভিতে ধরা পড়ে।
টেক্সাসের ‘সিটি অব আমারিলো’ টুইটারে ওই ছবি পোস্ট করে। ক্যাপশনে লেখা হয়, আমারিলো চিড়িয়াখানায় এক অদ্ভুত প্রাণীর ছবি ধরা পড়েছে। গত ২১ মে রাত প্রায় ১টা ২৫ নাগাদ প্রাণীটি ওখানে দাঁড়িয়েছিল। এটা কি কোনো আগন্তুক, যিনি রাতের বেলায় হাঁটতে বেরিয়েছিলেন? নাকি এটা একটা চুপাক্যাবড়া?
প্রসঙ্গত, লাতিন আমেরিকার জনপ্রিয় কিংবদন্তী চুপাক্যাবড়া হল নেকড়ে-মানুষের আদলেরই একটি কাল্পনিক প্রাণী। দানবীয় এই প্রাণী অন্য প্রাণীদের আক্রমণ করে এবং তাদের রক্ত খায়। নামটি স্প্যানিশ শব্দ চুপার (চুষতে) এবং ক্যাবড়া (ছাগল) থেকে নেওয়া হয়েছে। চুপাক্যাবড়াকে তাই বলা যেতে পারে ‘ছাগল-চোষা’।
ছায়াময় ওই প্রাণীটি যে কি তা আসলে শনাক্ত করা যায়নি। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে এই রহস্যের সমাধান চেয়ে জানিয়েছে, এটি কি একটি অদ্ভুত টুপিওয়ালা ব্যক্তি ছিল যে রাতে হাঁটতে পছন্দ করে? তার পিছনের পায়ে একটি বড় কোয়োট? একটি চুপাকাবড়্যা? এটা আমারিলোর একটা রহস্য- যা সমাধানে সাহায্য দরকার।