পূর্বাচল ১৪ লেন ॥ এক্সপ্রেসওয়ে আজ উদ্বোধন


, আপডেট করা হয়েছে : 19-11-2023

পূর্বাচল ১৪ লেন ॥ এক্সপ্রেসওয়ে আজ উদ্বোধন

রাজধানীর পূর্বাচলে নির্মাণ করা হয়েছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যতম দৃষ্টিনন্দন ও আকর্ষণীয় এক্সপ্রেসওয়ে (বিরতিহীন সড়ক)। যার নতুন নামকরণ করা হয়েছে পূর্বাচল ‘শেখ হাসিনা সরণি’। এই সড়কটি প্রগতি সরণি ও বিমানবন্দর সড়কের সঙ্গে পূর্বের ইস্টার্ন বাইপাসকে সংযুক্ত করছে। সাড়ে ১২ কিলোমিটার দীর্ঘ ১৪ লেনের এই এক্সপ্রেসওয়েটি আজ মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।


এ ছাড়া ঢাকার মিরপুর পাইকপাড়ায় সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য নির্মিত বহুতল আবাসিক ভবন, আজিমপুর কলোনিতে সরকারি বহুতল আবাসিক ভবন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের ১৫টি, সড়ক ও  সেতু মন্ত্রণালয়ের ১৫টি, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের ১৫টি ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ১২৫৯টিসহ বিভিন্ন সংস্থা ও দপ্তরের একাধিক প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী। মঙ্গলবার সকাল ১০টায় গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ সব প্রকল্পের আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন তিনি। দেশব্যাপী ২৪টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের ১৫৭টি প্রকল্পের ১০ হাজার ৪১টি অবকাঠামোর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। সেগুলোর ব্যয় ধরা হয়েছে ৯৭ হাজার ৪৭১ কোটি তিন লাখ টাকা।


পূর্বাচলে ১৪ লেনের ‘শেখ হাসিনা সরণি’ ॥ বদলে যাচ্ছে ঢাকার পূর্বাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা। রাজধানীর সঙ্গে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সংযোগ করতে পূর্বাচলে নির্মাণ করা হয়েছে সাড়ে ১২ কিলোমিটার দীর্ঘ ১৪ লেনের এক্সপ্রেসওয়ে (বিরতিহীন সড়ক)। যার নতুন নামকরণ করা হয়েছে ‘শেখ হাসিনা সরণি’। এই সড়কটি রাজধানীর প্রগতি সরণি ও বিমানবন্দর সড়কের সঙ্গে পূর্বের ইস্টার্ন বাইপাসকে সংযুক্ত করেছে। পাশাপাশি ওই এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে খাল খনন ও সংস্কার করা হচ্ছে। ‘কুড়িল-পূর্বাচল লিংক রোডের উভয় পার্শ্বে ১০০ ফুট চওড়া খাল খনন ও উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় এটি বাস্তবায়ন করেছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। এই সড়কটি নির্মাণের ফলে ঢাকা শহরের পূর্ব-পশ্চিমাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেকটাই বদলে গেছে বলে স্থানীয়রা জানান।


প্রকল্প সূত্র জানায়, সাড়ে ১২ কিলোমিটার সড়কের মধ্যে রাজধানীর কুড়িল থেকে বালু নদী পর্যন্ত সাড়ে ৬ কিলোমিটার সড়কটি নির্মাণ করা হয়েছে ১৪ লেন বিশিষ্ট। এর মধ্যে ৮ লেন সড়ক এক্সপ্রেসওয়ে। বাকি ৬ লেন স্থানীয় যানবাহন চলাচলের জন্য সার্ভিসরোড হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এছাড়া বালু নদী থেকে কাঞ্চন সেতু পর্যন্ত ৬ কিলোমিটার সড়ক ১২ লেনের। এর মধ্যে ৬ লেন সড়ক এক্সপ্রেসওয়ে। বাকি ৬ লেন সার্ভিসরোড। এ পর্যন্ত প্রকল্পের ৯৮ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টায় গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এই এক্সপ্রেসওয়েসহ গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের ১৫টি প্রকল্পের আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।


‘কুড়িল-পূর্বাচল লিংক রোডের উভয় পার্শ্বে (কুড়িল-বালু নদী পর্যন্ত) ১০০ ফুট চওড়া খাল খনন ও উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পটি ২০১৮ সালের ৪ নভেম্বর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আবাসন প্রকল্পের বাইরে এটিই রাজউকের সবচেয়ে বড় উন্নয়ন প্রকল্প। প্রকল্পটি সর্ব প্রথম মেয়াদ ছিল ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০১৮ সালের আগস্ট। তিন বছরের প্রকল্পটি বাস্তবায়নের কথা ছিল। ২০১৫ সালে প্রকল্পটির প্রাক্কলিত ব্যয় ছিল ৫ হাজার ২৮৬ কোটি ৯১ লাখ টাকা। এর সঙ্গে আরও তিনটি খাল, সড়ক, সেতুসহ আনুষঙ্গিক বিষয় যুক্ত হওয়ায় সংশোধিত প্রকল্পের ব্যয় প্রায় ৫ হাজার ৪২ কোটি ৭৫ লাখ টাকা বৃদ্ধি করা হয়। এতে প্রকল্পের মোট ব্যয় দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ৩২৯ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে।


এ বিষয়ে প্রকল্প পরিচালক এমএম এহসান জামিল জনকণ্ঠকে বলেন, ‘এই প্রকল্পের মাধ্যমে ৩০০ ফুট সড়কটি এক্সপ্রেসওয়ে করা হয়েছে। এছাড়া ১০০ ফুট খাল খনন, ১৩টি আর্চ ব্রিজ, ৫টি অ্যাটগ্রেড ইন্টারসেকশন, বিদ্যমান ৬টি ব্রিজ প্রশস্ত করা, কুড়িল থেকে বালু নদী পর্যন্ত ১৪ লেন সড়ক উন্নয়ন, বালু নদী থেকে কাঞ্চন পর্যন্ত ১২ লেন উন্নয়ন করা হয়েছে। পাশাপাশি এডি-৮ খাল, বোয়ালিয়া খাল ও ডুমনি খাল উন্নয়ন হচ্ছে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে বাউন্ডারি ওয়াল, ইউড্রেন নির্মাণ, জিআরপি পাইপ লাইন স্থাপন ও নিকুঞ্জ লেক উন্নয়নের কাজ শেষ হয়েছে।’


জলাবদ্ধতা নিরসনে তিন খাল সংস্কার ॥ বর্ষা মৌসুমে নিকুঞ্জ, বারিধারা, বারিধারা ডিওএইচএস, জোয়ারসাহারা, সেনানিবাস, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, কালাচাঁদপুর, কাওলা, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকাসহ বিস্তীর্ণ এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য ১০০ ফুট খালটি খননের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে শুধুমাত্র কুড়িল-পূর্বাচল লিংক রোডের উভয় পার্শ্বে ১০০ ফুট খাল দিয়ে বিশাল এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসন সম্ভব নয়। তাই প্রকল্পের সঙ্গে নতুন করে ডুমনি, বোয়ালিয়া ও এডি-৮ খাল তিনটি যুক্ত করা হয়েছে। এই খালটি পাশের কাঁঠালিয়া খালের সঙ্গে যুক্ত হবে। ফলে ডুমনি খালের পানিও বালু নদ পর্যন্ত যাবে। খাল তিনটি খননের পাশাপাশি পাড় বাঁধাইসহ আনুষঙ্গিক কাজ করা হচ্ছে। এসব কাজ শেষ হলে নিকুঞ্জ-১, নিকুঞ্জ-২, জোয়ারসাহারা, সেনানিবাস, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, কালাচাঁদপুর, কাওলা, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় আর জলাবদ্ধতা হবে না বলে প্রকল্পের সংশ্লিষ্টরা জানান।


এ বিষয়ে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব ওয়াছি উদ্দীন জনকণ্ঠকে বলেন, ‘পূর্বাচলের এক্সপ্রেসওয়েসহ গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের ১৫টি প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। মঙ্গলবার সকাল ১০টায় গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত তিনি এ সব প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন। পূর্বাচলের এক্সপ্রেসওয়ের নতুন নামকরণ করা হয়েছে শেখ হাসিনা সরণি।’


গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য প্রকল্পগুলো হলো- রাজধানীর জিগাতলায় সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য ২৮৮টি আবাসিক ফ্ল্যাট, চট্টগ্রামে আগ্রাবাদে সিজিএস কলোনিতে ৯টি বহুতল আবাসিক ভবন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এবং গণভবনের প্রয়োজনীয় বৈদ্যুতিক সিস্টেমের আধুনিকায়ন, মানিকগঞ্জে বহুতল সমন্বিত সরকারি অফিস ভবন, রাজধানীর সেগুনবাগিচায় স্থাপত্য ভবনের আধুনিকায়ন কাজ, মিরপুরে পাইকপাড়ায় সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ১৮টি বহুতল আবাসিক ভবন, আজিমপুর সরকারি কলোনীতে বহুতল ১১টি  আবাসিক ভবন; ঢাকার গুলশান, ধানমন্ডি ও মোহাম্মদপুরে বহুতল ১৪টি আবাসিক ভবন, চট্টগ্রাম শহরে ৪টি সরকারি আবাসিক ভবন, রাজধানীর সোবহানবাগ মসজিদের আধুনিকায়ন, রাজধানীর গুলশান, মোহাম্মদপুর, লালমাটিয়া ও ধানমন্ডি এলাকায় বহুতল এপার্টমেন্ট ভবন, চট্টগ্রাম শহরের লালখান বাজার হতে শাহ আমানত বিমানবন্দর পর্যন্ত মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরী সিডিএ এক্সপ্রেসওয়ের, চট্টগ্রামে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব সড়ক এবং চট্টগ্রামের সিরাজ-উদ-দৌলা রোড হতে শাহ আমানত ব্রিজ সংযোগ সড়ক পর্যন্ত জানে আলম দোভাষ সড়ক নির্মাণ শেষে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।


নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প ॥ মঙ্গলবার সকাল ১০টায় গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়েছে নৌ-মন্ত্রণালয়ের ১৫টি প্রকল্পের আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মধ্যে উদ্বোধনকৃত প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে, ধানুয়া কামালপুর স্থলবন্দর (জামালপুর), রামগড় স্থলবন্দর (খাগড়াছড়ি), বিআইডব্লিউটিসির ছয়টি ইমপ্রুভড মিডিয়াম ফেরি, বিআইডব্লিউটিএ’র মিঠামইন উপজেলার ঘোড়াউতরা, বোলাই-শ্রীগাং নদীর অংশ বিশেষ ও ইটনা উপজেলার ধনু নদীর অংশ বিশেষের নাব্যতা উন্নয়ন ও পুনরুদ্ধার; পুরাতন ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তুলাই এবং পুনর্ভবা নদীর নাব্যতা উন্নয়ন ও পুনরুদ্ধার শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ধরলা নদীর নাব্যতা রক্ষার্থে খনন; ঢাকা-লক্ষ্মীপুর নৌপথের লক্ষ্মীপুর প্রান্তে মেঘনা নদী ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে নাব্যতা উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় নৌচলাচল সহজীকরণ; ধাওয়াপাড়া (রাজবাড়ী) ও নাজিরগঞ্জ (পাবনা) ফেরি সার্ভিসসহ নদীবন্দর কার্যক্রম। ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনকৃত প্রকল্পগুলো হলো : বাংলাদেশ আঞ্চলিক অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন প্রকল্প-১ এর আওতায় পানগাঁও কার্গো টার্মিনাল নির্মাণ, আশুগঞ্জ কার্গো টার্মিনাল, বরিশাল নদী বন্দরে প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল, চাঁদপুর নদী বন্দরে প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল; নারায়ণগঞ্জ ডেক ও ইঞ্জিন কর্মী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র; নারায়ণগঞ্জ খানপুরে অভ্যন্তরীণ কনটেনার এবং বাল্কহেড টার্মিনাল নির্মাণ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় মাল্টিপারপাস টার্মিনাল নির্মাণ।


শিক্ষা মন্ত্রণালয় ॥ মঙ্গলবার সকাল ১০টায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দেশের ১২৫৯টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভবন উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসব ভবনের ১১ হাজার ২৩১টি কক্ষে ৫ লাখ ৬১ হাজার ৫৫০ জন শিক্ষার্থী পাঠগ্রহণের সুযোগ পাবে। এদিকে টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাষানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫টি ভবনও উদ্বোধন করবেন তিনি। এ ছাড়া আবাসন সংকট নিরসনে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে নবনির্মিত ছয়টি আবাসিক হল এবং ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্র আজ মঙ্গলবার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।


স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ জানান, নারায়ণগঞ্জে ১০৮ কোটি টাকার ব্যয়ে নির্মিত ভাষা সৈনিক বেগম নাগিনা জোহা সড়ক ও প্রায় ৫শ’ কোটি টাকা ব্যয়ে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১০টি প্রকল্পসহ মোট ৬শ’ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ১১টি উন্নয়ন প্রকল্প কাজের আজ মঙ্গলবার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  সড়ক ও জনপথের (সওজ) সূত্র জানায়, ১০৮ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সাড়ে ৬ কিলোমিটার দীর্ঘ চাষাঢ়া-খাঁনপুর-হাজীগঞ্জ-গোদনাইল-আদমজী সড়কটি নির্মাণ কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। সড়কটি নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমানের মাতা ভাষা সৈনিক বেগম নাগিনা জোহার নামে নামকরণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে সওজের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী সামিউল কাদের খান বলেন, ভাষা সৈনিক বেগম নাগিনা জোহা সড়কটি মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধন করবেন। সড়কটির নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০২১ সালের ফেরুয়ারি মাসে। এর নির্মাণ কাজ শেষ হয় হয় চলতি বছরের ২২ জুনে। সড়কটি মোট ১০৮ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে। সড়কটির দৈর্ঘ্য ৬ দশমিক ৫৮ কিলোমিটার। সড়কটিতে রয়েছে ৩টি ব্রিজ, ১টি কালভার্ড, ড্রেন ও ফুটপাত। অপরদিকে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের অধীনে ১০টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ উন্নয়ন প্রকল্পগুলো হলো- নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নগর ভবন, শেখ রাসেল পার্ক, বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বিজড়িত পাইকপাড়া মিউচুয়েল ক্লাব, বাবুরাইল খাল পুনর্খনন ও সৌন্দর্যবর্ধন, সিদ্ধিরগঞ্জ খাল পুনর্খনন ও সৌন্দর্যবর্ধন, পাক-পাঞ্জাতন সিটি জামে মসজিদ, আলী আহাম্মদ চুনকা নগর পাঠাগার ও মিলনায়তন, কলরব কিন্ডারগার্টেন স্কুল, সিটি ওয়েলফেয়ার মাঠ ও সোনাকান্দা মাঠ।


পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি খাগড়াছড়ি থেকে জানান, মুজিব বর্ষের অঙ্গীকার হিসেবে জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে সরকারি অর্থায়নে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলায় ৭ হাজার গৃহহীন ভূমিহীন পরিবারকে  পুনর্বাসন করা হয়েছে। সরকারি দপ্তর ও বিত্তবানদের এ কাজে সহায়তায় প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে সাড়া দিয়ে ব্যতিক্রমী এক অন্যন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। খাগড়াছড়িতে ভূমিহীন মানুষের জন্য দৃষ্টিনন্দন আবাসিক স্থাপনা নির্মাণ করেছে সরকার। পৌর শহরে শালবন এলাকায় ৫ একর জমির ওপর নির্মিত ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব আবাসন প্রকল্প’ হবে দুস্থ, ভূমিহীনদের ঠিকানা। পরিকল্পিত একটি আবাসন প্রকল্প স্থাপন করে পাহাড়ে ভূমি ধসে ক্ষতিগ্রস্ত, বিধবা, প্রতিবন্ধীসহ দুস্থ অসহায় ৬০টি পরিবারকে মাথা গোঁজার ঠাঁই করা দেওয়া হয়েছে।


খাগড়াছড়ি জেলা শহরের অদূরে শালবনের রসুলপুর এলাকায়  ৫ একর জায়গায় ১৪ কোটি ৬০ লাখ টাকা ব্যয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগ বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব আবাসন প্রকল্প’ নামে পরিকল্পিত এ আবাস প্রকল্পটি নির্মাণ করেছে। আজ মঙ্গলবার ভিডিও কনফান্সের মাধ্যমে এই আবাসন প্রকল্পের আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।



  • সম্পাদক ও প্রকাশক: ইঞ্জিনিয়ার মো: রায়হানুল ইসলাম

  • উপদেষ্টাঃ মোঃ ইব্রাহীম হায়দার