ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা লোহিত সাগরে ইসরাইলি নাগরিকের অংশীদারত্বে থাকা একটি পণ্যবাহী জাহাজ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল রোববার (২০ নভেম্বর) সকালে ইয়েমেনের নিকটবর্তী দক্ষিণ লোহিত সাগর থেকে দ্য গ্যালাক্সি লিডার নামের ওই জাহাজটি জব্দ করা হয়।
হুথি বিদ্রোহীরা দাবি করেছে, ফিলিস্তিনে ইসরাইলি আগ্রাসনের জবাবে তারা জাহাজটি আটক করেছে। তবে ইসরাইল অভিযোগ করেছে যে, এটি ইরানের সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ডের অংশ।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানিয়েছে, জাহাজটি যুক্তরাজ্যের মালিকানাধীন। এটি পরিচালনা করছে জাপান। এর মালিকানায় ইসরাইলি এক ব্যবসায়ীর অংশীদারিত্ব রয়েছে। তুরস্ক থেকে ছেড়ে আসা জাহাজটি ভারতে যাওয়ার কথা ছিল।
হুথিদের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি রোববার রাতে এক বিবৃতিতে বলেছেন, তাদের যোদ্ধারা জাহাজটি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছেন। এতে থাকা নাবিকদের যাবতীয় নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ফিলিস্তিনের গাজা ও পশ্চিম তীরে আমাদের ভাইদের ওপর চলা আগ্রাসন বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত আমরা ইসরাইলের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান চালিয়ে যাব।
ওই বিবৃতিতে ইসরাইলের মালিকানাধীন জাহাজগুলোতে অন্যান্য দেশের নাবিকদের কাজ না করার আহ্বানও জানানো হয়।
ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় ও দেশটির সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে পৃথক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হুথিদের দ্বারা জাহাজ ছিনতাইয়ের পেছনে ইরানের হাত রয়েছে। এর মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হয়েছে যে, ইরান বিশ্বের মুক্ত নাগরিদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাচ্ছে।
তবে ইরানের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, জাহাজ নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার এই ঘটনার সঙ্গে তেহরানের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। কোনো ধরনের প্রমাণ ছাড়াই ইসরাইল ঢালাওভাবে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে।
অপরদিকে জাহাজ আটকের বিষয়ে অবগত জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা বিষয়টি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।