এবারই প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচন করছেন, এমন ৬৫ জন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন। তাঁদের মধ্যে সরাসরি রাজনীতিতে না থাকা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান, চিত্রনায়ক ফেরদৌস যেমন রয়েছেন, তেমনি রয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব মো. আবুল কালাম আজাদ, পুলিশের সাবেক কর্মকর্তা আব্দুল কাহার আকন্দ।
আওয়ামী লীগের প্রবীণ ও প্রয়াত কয়েকজন নেতার সন্তানেরাও দলটির মনোনয়ন পেয়েছেন। বিভিন্ন জেলায় দীর্ঘ সময় ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে থাকা এবং ছাত্রলীগ–যুবলীগের সাবেক কয়েকজন নেতা ও দলটির বেশ কয়েকজন নারীনেত্রী প্রথমবারের মতো দলের মনোনয়ন পেয়েছেন। যাঁরা এই প্রথম মনোনয়ন পেলেন, তাঁদের আসনভিত্তিক তালিকা:
পঞ্চগড়-১ মো. নাঈমুজ্জামান ভুঁইয়া। ঠাকুরগাঁও-২ মো. মাজহারুল ইসলাম (আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য দবিরুল ইসলামের ছেলে), রংপুর-১ মো. রেজাউল করিম রাজু, রংপুর-৩ তুষার কান্তি মন্ডল, রংপুর-৫ রাশেক রহমান, কুড়িগ্রাম-৩ সৌমেন্দ্র প্রসাদ পান্ডে, কুড়িগ্রাম-৪ মো. বিপ্লব হাসান।
বগুড়া-২ তৌহিদুর রহমান মানিক, বগুড়া-৩ মো. সিরাজুল ইসলাম খান রাজু, বগুড়া-৪ মো. হেলাল উদ্দিন কবিরাজ, বগুড়া-৭ মো. মোস্তফা আলম।
নওগাঁ-৩ সৌরেন্দ্র নাথ চক্রবর্ত্তী, নওগাঁ-৪ মো. নাহিদ মোর্শেদ, রাজশাহী-২ মোহাম্মদ আলী, রাজশাহী-৩ মোহা. আসাদুজ্জামান আসাদ, রাজশাহী-৪ মো. আবুল কালাম আজাদ, পাবনা-৪ গালিবুর রহমান শরীফ (প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা শামসুর রহমান শরীফের ছেলে)।
ঝিনাইদহ-৩ মো. সালাহ উদ্দিন মিয়াজী, যশোর-২ মো. তৌহিদুজ্জামান, যশোর-৪ এনামুল হক বাবুল। মাগুরা-১ সাকিব আল হাসান (ক্রিকেটার)।
বাগেরহাট-৪ এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ (ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি), খুলনা-৩ এস এম কামাল হোসেন, সাতক্ষীরা-১ ফিরোজ আহম্মেদ স্বপন, সাতক্ষীরা–২ মো. আসাদুজ্জামান বাবু, সাতক্ষীরা-৪ এস এম আতাউল হক।
বরিশাল-৪ শাম্মী আহমেদ, পিরোজপুর-২ কানাই লাল বিশ্বাস, পিরোজপুর-৩ মো. আশরাফুর রহমান।
টাঙ্গাইল-৩ মো. কামরুল হাসান খান (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য), টাঙ্গাইল-৪ মো. মোজহারুল ইসলাম তালুকদার, টাঙ্গাইল-৫ মো. মামুন-অর-রশিদ।
জামালপুর-৪ মো. মাহবুবুর রহমান, জামালপুর-৫ মো. আবুল কালাম আজাদ (প্রধানমন্ত্রী সাবেক মুখ্য সচিব)।
ময়মনসিংহ-৩ নিলুফার আনজুম, ময়মনসিংহ-৪ মোহাম্মদ মোহিত উর রহমান, ময়মনসিংহ-৫ মো. আব্দুল হাই আকন্দ। নেত্রকোনা-৫ আহমদ হোসেন (ছাত্রলীগের সাবেক নেতা)।
কিশোরগঞ্জ-২ আবদুল কাহার আকন্দ (তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা, জেলহত্যা মামলা ও ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ছিলেন), কিশোরগঞ্জ-৩ মো. নাসিরুল ইসলাম খান।
ঢাকা-৫ হারুনর রশীদ মুন্না, ঢাকা-৬ মোহাম্মদ সাঈদ খোকন, ঢাকা-৭ মোহাম্মদ সোলায়মান সেলিম (সংসদ সদস্য হাজি মো. সেলিমের ছেলে), ঢাকা-১০ ফেরদৌস আহমেদ (চিত্রনায়ক), ঢাকা-১১ মোহাম্মদ ওয়াকিল উদ্দিন, ঢাকা-১৪ মো. মাইনুল হোসেন খান (যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক)। গাজীপুর-৩ রুমানা আলী (প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা রহমত আলীর ছেলে)। নরসিংদী-৩ ফজলে রাব্বি খান। ফরিদপুর-৩ শামীম হক।
সুনামগঞ্জ-১ রনজিত চন্দ্র সরকার, সুনামগঞ্জ-২ চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মাহমুদ (আইজিপি আবদুল্লাহ আল–মামুনের ভাই), সুনামগঞ্জ-৪ মোহম্মদ সাদিক, সিলেট-৫ মাসুক উদ্দিন আহমদ, মৌলভীবাজার-২ শফিউল আলম চৌধুরী, মৌলভীবাজার-৩ মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান।
কুমিল্লা-১ মো. আবদুস সবুর, কুমিল্লা-৮ আবু জাফর মোহাম্মদ শফি উদ্দিন, চাঁদপুর-১ সেলিম মাহমুদ (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক), ফেনী-১ আলাউদ্দিন আহম্মদ চৌধুরী (প্রধানমন্ত্রীর সাবেক প্রটোকল অফিসার), ফেনী-৩ মো. আবুল বাশার। লক্ষ্মীপুর-৪ ফরিদুন্নাহার লাইলী।
চট্টগ্রাম-১ মাহাবুব উর রহমান (ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের ছেলে), চট্টগ্রাম-২ খাদিজাতুল আনোয়ার, চট্টগ্রাম-৪ এস এম আল মামুন, চট্টগ্রাম-১২ মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী।