আসন্ন নির্বাচনে প্রার্থী হতে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। এ জন্য মনোনয়ন ফরম তুলেছিলেন রাজশাহী-১ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের জন্য। তবে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ড তাঁকে বিবেচনা করেনি। দলের মনোনয়ন না পেলেও এখন স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করতে যাচ্ছেন মাহি। রাজশাহী-১ আসনের প্রার্থী হতে সোমবার দুপুরে নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও তানোর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিল্লাল হোসেনের কার্যালয় থেকে তাঁর মনোনয়নপত্র তোলা হয়েছে। সেখানে জাতীয় পরিচয়পত্র অনুসারে প্রার্থী হিসেবে মাহিয়া মাহির নাম লেখা হয়েছে শারমিন আক্তার নিপা। মনোনয়নপত্র তোলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নায়িকা নিজেই।
তিনি বলেন, ‘আমি আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী হিসেবেই নির্বাচন করতে চেয়েছিলাম। এ জন্য দুটি আসনের মনোনয়ন ফরম তুলেছিলাম। তবে দল আমাকে বিবেচনা করতে পারেনি। এ জন্য অবশ্য আমার মনে কোন দকষ্ট নেই। যারা বছরের পর বছর রাজনীতি করছেন, তারাও মনোনয়ন পাবার যোগ্য। দল যাকে যোগ্য মনে করেছে, তাকেই মনোনয়ন দিয়েছে। এখানে আমার কোন খারাপ লাগার বিষয় নেই। আমি স্বতন্ত্রভাবেই নির্বাচনে যাচ্ছি।’ মাহি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের একজন কর্মী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন করাটা আমারও দায়িত্ব। প্রার্থী যত হবে, কেন্দ্রে ভোটার তত আসবে। প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন করতেই আমি প্রার্থী হচ্ছি, যাতে বিশ^বাসী দেখে। আশা করছি, এলাকার ভোটারেরা আমার সাথে থাকবেন।’ চিত্রনায়িকা মাহির গ্রামের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলায়। আর তাঁর নানার বাড়ি পাশর্^বর্তী রাজশাহীর তানোর উপজেলায়।
নাচোল, ভোলাহাট ও গোমস্তাপুর উপজেলা নিয়ে গঠিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ এবং তানোর ও গোদাগাড়ী উপজেলা নিয়ে গঠিত রাজশাহী-১ আসনের মধ্যে যে কোন একটিতে তিনি নির্বাচন করতে কিছুদিন ধরে মাঠে রয়েছেন। তবে শেষ পর্যন্ত রাজশাহী-১ আসনেই প্রার্থী হতে তাঁর পক্ষে মনোনয়নপত্র তোলা হয়েছে। মাহি জানিয়েছেন, এই একটি আসন থেকেই তিনি নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন। চিত্রনায়িকা মাহি বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে রয়েছেন। রাজশাহী-১ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ওমর ফারুক চৌধুরী। ২০০৮ সাল থেকেই তিনি এ আসনের এমপি।