বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় ১৪ দলীয় জোটের অন্যতম নেতা ফজলে হোসেন বাদশা এমপি বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে তাদের বিরুদ্ধে রাজপথে ১৪ দল যে শক্তিশালী ভূমিকা রেখেছিল তা আবারো ফিরিয়ে আনতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে ক্ষমতায় টিকে থাকলে হলে সংগ্রামী মানসিকতা নিয়ে ১৪ দলকে ঐক্যবদ্ধ করার কোন বিকল্প নেই।
বৃহস্পতিবার বিকালে ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ১৪ দলীয় জোটের ঢাকা মহানগর কমিটি এই সভার আয়োজন করে। সভা থেকে আগামী ১৮ জুন বিকাল ৩টায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ১৪ দলের সমাবেশকে সফল করার আহ্বান জানানো হয়।
সভায় ওয়ার্কার্স পার্টির প্রধানতম নেতা ও সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, ১৪ দলকে ঐক্যবদ্ধ করতে পারলে নির্বাচনের মাঠে বিএনপিকে খুঁজে পাওয়া যাবে না। নির্বাচন করার মতো জনসমর্থন তারা হারাবে। পদ্মা সেতু শুধু একটি সেতু নয়, এটি বাংলাদেশের অহংকার। তারা পদ্মা সেতু নিয়ে যড়যন্ত্র করে, গুজব ছড়ায়। পদ্মা সেতু জাতীয় উন্নয়নের প্রতীক। পদ্মা সেতুর নিচ দিয়েই বিএনপি-জামায়াতকে ভেসে যেতে হবে।
সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া (বীর বিক্রম)। তিনি বলেন, বাঙালি জাতির আত্মমর্যাদা ও সক্ষমতার প্রতীক সপ্নের পদ্মা সেতুর শুভ উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে যে কোন ষড়যন্ত্র সরকার কঠোর হস্তে দমন করবে। এ বিষয়ে তিনি ঢাকা মহানগরে ১৪ দলের নেতা-কর্মীদের সতর্ক থেকে প্রস্তুতি গ্রহণের আহ্বান জানান।
ওয়ার্কার্স পার্টির ঢাকা মহানগরের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসাইনের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহদাত হোসেন, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের পলিটব্যুরোর সদস্য কমরেড ধীরেন সিংহ, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিউদ্দিন মোল্লা, জাতীয় পার্টি জে.পি প্রেসিডিয়াম সদস্য এজাজ আহম্মেদ মুক্তা, তরীকত ফেডারেশনের যুগ্ম-মহাসচিব মুহাম্মদ আলী ফারুকী, বাসদের আহ্বায়ক রেজাউর রশীদ খান, নগর ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক কিশোর রায়, ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ) আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হেদায়েতুল ইসলাম স্বপন, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, গণতান্ত্রিক মজদুর পার্টির নেতা শামিম আরা, গণ আজাদি লীগের নেতা মাহবুবুল ইসলাম প্রমুখ।