এক ক্যানভাস দেখেই তো চেনা যায় একটি দেশ। কী নেই সেখানে। লাল-সবুজের পতাকা, স্মৃতিসৌধ, শহীদ মিনার, শাপলা, কৃষকের ঘর, ফুলের বাগান, মেট্রোরেল, পদ্মা সেতু। আরও কত কী! বাংলাদেশকে চেনাতে আর কী প্রয়োজন। সবই এঁকেছে শিশুরা, নিজেদের মতো করে।
বাংলাদেশ পেরিয়েছে স্বাধীনতার ৫২ বছর। তাই এই ক্যানভাস ৫২ ফুট লম্বা। বিজয় দিবসে গতকাল শনিবার রাজধানীর শিশু একাডেমি প্রাঙ্গণে এই আয়োজন করে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
সকাল ১০টার খানিক পরে অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত হয়ে মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা শিশুদের নিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে দেন পুষ্পার্ঘ্য। শ্রদ্ধা জানায় মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য অধিদপ্তর ও সংস্থাগুলো। তারপরে মাইক্রোফোনের সামনে দাঁড়ানো শিশুরা গেয়ে ওঠে জাতীয় সংগীত।
এরপরেই বীর মুক্তিযোদ্ধা ও চিত্রশিল্পী আবুল বারক আলভীসহ প্রতিমন্ত্রী উদ্বোধন করেন দীর্ঘ ক্যানভাসে স্মার্ট বাংলাদেশ আঁকার কার্যক্রম।
উদ্বোধনী আয়োজন শেষ হতেই শিশুরা রং আর তুলি নিয়ে ক্যানভাসে ঝাঁপিয়ে পড়ে। তাঁরা আঁকে নিজেদের মনের ছবিতে ভেসে ওঠা বাংলাদেশকে।
আবুল বারক আলভী তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘শিশুরা ভীষণভাবে স্বাধীনচেতা। তারা স্বাধীনভাবেই তাদের ছবি আঁকে। আজকে তারা যা এঁকেছে, তা দেখে আপনারাও ভীষণ আনন্দিত হবেন।’
পাশেই শিশু একাডেমির শহীদ মতিউর রহমান মঞ্চে ছিল আলোচনা, পুরস্কার প্রদান ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেন, ‘ডিসেম্বর মাস বিজয়ের, গৌরবের, আনন্দের, বেদনার, স্বজন হারানোর মাস। এই দিনটি কিন্তু এক দিনে, এক বছরে আসেনি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে পাকিস্তানি ঔপনিবেশিক শাসন ও শোষণের বিরুদ্ধে সুদীর্ঘ ২৪ বছরের মুক্তির সংগ্রাম ও একাত্তর সালের ৯ মাসের সশস্ত্র মুক্তিসংগ্রামের মাধ্যমে একাত্তর সালের এই দিনটি আমরা অর্জন করি।’
বাংলাদেশ শিশু একাডেমির চেয়ারম্যান নাট্যজন লাকী ইনামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমা মোবারেক, অভিনেতা ও শিল্পী আফজাল হোসেন। স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ শিশু একাডেমির মহাপরিচালক আনজীর লিটন। এরপর বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিশুদের পুরস্কার দেওয়া হয়। শিশুরা অংশগ্রহণ করে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে।