আয় কমেছে সংসদ উপনেতা মতিয়া চৌধুরীর


, আপডেট করা হয়েছে : 18-12-2023

আয় কমেছে সংসদ উপনেতা মতিয়া চৌধুরীর

নকলা ও নালিতাবাড়ী উপজেলা নিয়ে গঠিত শেরপুর-২। এই আসনে ১৯৯১ থেকে ২০০১ সাল ছাড়া প্রতিটি নির্বাচনেই নৌকা নিয়ে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সংসদ উপনেতা মতিয়া চৌধুরী। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তিনি নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হয়েছেন। হলফনামা অনুযায়ী, গত পাঁচ বছরে তার আয় কমেছে ৪৭ দশমিক ৭৮ ভাগ।


জানা গেছে, ২০১৮ সালের হলফনামায় মোট ১৩টি খাতে মতিয়া চৌধুরীর আয় ছিল ১৯ কোটি ৬৮ লাখ ৩৩ হাজার ১৫ টাকা। আর একই খাতে ২০২৩ সালের হলফনামায় দেখানো হয়েছে ১০ কোটি ২৭ লাখ ৭৭ হাজার ৩৯১ টাকা। এ হিসাবে তার আয় কমেছে ৯ কোটি ৪০ লাখ ৫৬ হাজার ২৪ টাকা।


এবারের হলফনামা বিশ্লেষণে দেখা যায়, মতিয়া চৌধুরীর কৃষি খাত থেকে আয় ৭৫ হাজার টাকা, বাড়ি ও অ্যাপার্টমেন্ট থেকে ৭৮ হাজার ৭৫০ টাকা, শেয়ার, সঞ্চয়পত্র ও ব্যাংক আমানত ৮ কোটি ৬৯ হাজার ৯২৫ টাকা, চাকরি থেকে ৯ লাখ ৪৯ হাজার ৩১ টাকা, অন্যান্য ও ব্যাংক সুদ থেকে ৪২ লাখ ৯৮ হাজার ৮৪৮ টাকা, অস্থাবর সম্পদ থেকে ৩০ লাখ টাকা, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা ১ কোটি ২৭ লাখ ৫৯ হাজার ৩০৫ টাকা, বন্ড ও শেয়ারবাজার ৭ কোটি ৫২ লাখ ৫১ হাজার ৫৩২ টাকা, পোস্টাল ও বিভিন্ন সঞ্চয়পত্র ৫০ লাখ টাকা, বাস, ট্রাক ও মোটরগাড়ি ৪ লাখ টাকা, স্বর্ণ ও অন্যান্য মূল্যবান ধাতু ২০ হাজার টাকা, ইলেকট্রনিক্স দ্রব্যাদি ৬০ হাজার টাকা ও ১৫ হাজার টাকার আসবাবপত্র রয়েছে। এছাড়া তার ১৫ একরের চারের এক শতাংশ (অর্জনকালীন সম্পদ) কৃষিজমি, সাঁতারকুল এলাকায় আধা বিঘা ও মধ্য বাড্ডায় ৫ কাঠার অকৃষি জমি রয়েছে। যার মূল্য অজানা বলে উল্লেখ করেছেন। এছাড়া আশুলিয়ায় ২০ লাখ ৪৭ হাজার ৯০০ টাকা মূল্যের একটি প্লট ও ৪ লাখ ৯৪ হাজার ২৯৫ টাকা মূল্যের বাড়ি ও অ্যাপার্টমেন্ট রয়েছে।


পক্ষান্তরে ২০১৮ সালের হলফনামায় তার কৃষি খাতে আয় ৫০ হাজার টাকা, বাড়ি ও অ্যাপার্টমেন্ট থেকে ৭৮ হাজার ৭৫০ টাকা, শেয়ার সঞ্চয়পত্র ও ব্যাংক আমানত ২ কোটি ৮১ লাখ ৬৫ হাজার ৪৬৪ টাকা, চাকরি থেকে আয় ১২ লাখ ৬০ হাজার টাকা, অন্যান্য ব্যাংক সুদ, এফডিআর সুদ, ডিভিডেন্ট, বক্তৃতা, টিভি সম্মানি থেকে আয় ২১ লাখ ৮৭ হাজার ৮৯৬ টাকা, নগদ ২০ হাজার টাকা, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা ২০ লাখ ১১ হাজার ৩৮৭ টাকা, বন্ড, ঋণপত্র, স্টক এক্সচেঞ্জ, শেয়ারবাজারে ৬ কোটি ২৪ লাখ ৭৯ হাজার ৯১৮ টাকা, পোস্টাল ও বিভিন্ন সঞ্চয়পত্র ১০ কোটি পাঁচ লাখ টাকা, স্বর্ণ ও মূল্যবান ধাতু ২০ হাজার টাকা ও ইলেকট্রনিক সামগ্রী ৬০ হাজার টাকার।


আসনটিতে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ে মতিয়া চৌধুরী, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের লাল মোহাম্মদ শাহজাহান কিবরিয়া ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ মো. আবু সাঈদ আঙ্গুরের মনোনয়নপত্র বৈধ হয়েছে।



  • সম্পাদক ও প্রকাশক: ইঞ্জিনিয়ার মো: রায়হানুল ইসলাম

  • উপদেষ্টাঃ মোঃ ইব্রাহীম হায়দার