চীনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ গানশুর জিশিশান জেলায় শক্তিশালী এক ভূমিকম্পে অন্তত ১১১ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও অন্তত ২৩০ জন, নিখোঁজ রয়েছে আরও অনেকে। স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার রাত ১১টা ৫৯ মিনিটের দিকে এই ভূমিকম্প ঘটে বলে জানিয়েছে চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যমগুলো।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গানশু প্রদেশের জিশিশান জেলা চিংহাই-তিব্বত মালভূমির অংশ। চীনের আর্থকোয়েক নেটওয়ার্ক সেন্টারের (সিইএনসি) তথ্যমতে, ভূমিকম্পটি ছিল ৬ দশমিক ২ মাত্রার। ভূমিকম্পটি ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে উৎপন্ন হয়েছিল।
চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, উদ্ধার ও ত্রাণ প্রচেষ্টা চলছে। ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি ও অন্যান্য প্রভাব মূল্যায়নের জন্য একটি ওয়ার্কিং কমিটি পাঠানো হয়েছে। প্রাদেশিক ফায়ার সার্ভিস ও বন বিভাগের প্রায় ২ হাজার ২০০ উদ্ধারকর্মীকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি পেশাদার বিভিন্ন জরুরি উদ্ধারকারী দল, সেনাবাহিনী ও পুলিশও উদ্ধারকাজে অংশ নিয়েছে।
দুর্ঘটনাকবলিত এলাকায় এলাকাটি বেশি উচ্চতার হওয়ায় সেখানে ব্যাপক ঠান্ডা পরিবেশ বিরাজ করছে। এ কারণে উদ্ধার তৎপরতাও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। আজ মঙ্গলবার সকালেও গানশুর তাপমাত্রা ছিল মাত্র ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চীনজুড়েই বর্তমানে শীতকাল বিরাজ করায় পরিস্থিতি আরও কঠিন হয়ে উঠেছে।
গানসুর মতো উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশগুলো বেশ ভূমিকম্পপ্রবণ। অঞ্চলটি চুংহাই-তিব্বত মালভূমির পূর্ব সীমানায় অবস্থিত, যা একটি সক্রিয় টেকটোনিক প্লেটের ওপর দাঁড়িয়ে আছে। সম্প্রতি কয়েক দশকের মধ্যে চীনে সবচেয়ে ভয়াবহ ভূমিকম্প ঘটে ২০০৮ সালে। সে বছর চীনের সিচুয়ানে ৮ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল এবং এই ভূমিকম্পে ৭০ হাজার মানুষ নিহত হয়েছিল।