লক্ষ্মীপুরে আলমিরার গ্লাস ভাঙার জের ধরে মাহফুজুর রহমান (২০) নামে এক যুবকের রডের আঘাতে তার বড় ভাই জাহাঙ্গীর আলমের (৩০) মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সদর উপজেলার শাকচর ইউনিয়নের উত্তর টুমচর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত জাহাঙ্গীর নুর মোহাম্মদের মেঝো ছেলে। তিনি পেশায় অটোরিকশা (মিশুক) চালক। ঘাতক মাহফুজ তার আপন ছোট ভাই।
লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন আনোয়ার রাত ৯টার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
তিনি বলেন, পারিবারিক বিরোধের ঘটনায় ছোট ভাইয়ের লাঠির আঘাতে জাহাঙ্গীর মারা গেছেন। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা আত্মগোপনে থাকায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
নিহতের স্ত্রী শারমিন আক্তারসহ স্থানীয়রা জানায়, ইস্রাফিল (৮) ও ইয়ামিন (৩) নামে দুটি ছেলে রয়েছে জাহাঙ্গীরের। বিকেলে খেলার সময় দাদা নুর মোহাম্মদের ঘরে শিশু ইয়ামিন একটি লাঠি ছুড়ে মারে। এতে ঘরে থাকা আলমিরার গ্লাস ভেঙে যায়। এ নিয়ে নুর মোহাম্মদসহ তার স্ত্রী রহিমা খাতুন, মেয়ে দোলা আক্তার, মোসুমি ও ছেলে মাহিফুজ এসে শারমিনের সঙ্গে ঝগড়া করে।
খবর পেয়ে বাড়িতে এলে জাহাঙ্গীরের সঙ্গেও তাদের কথা কাটাকাটি হয়। এর মধ্যে উভয় পক্ষের হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে। এক পর্যায়ে একটি রড দিয়ে জাহাঙ্গীরের মাথায় ছোট ভাই মাহফুজ আঘাত করে। পরে আহত অবস্থায় জাহাঙ্গীরকে স্থানীয়দের সহযোগিতায় সদর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে স্বজনরা মরদেহ বাড়িতে নিয়ে আসে।
কান্না জড়িত কণ্ঠে শারমিন আক্তার বলেন, আমার স্বামীকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আমি হত্যাকারীদের বিচার চাই। আমার দুই সন্তানকে এতিম করে দিয়েছে তারা।