যখনই নির্বাচন আসে একটি পক্ষ নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করতে চায়: আসাদ


, আপডেট করা হয়েছে : 29-12-2023

যখনই নির্বাচন আসে একটি পক্ষ নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করতে চায়: আসাদ

রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী মোহা. আসাদুজ্জামান আসাদ বলেছেন, একদিকে শেখ হাসিনা বলছে, গোটা পৃথিবীতে বাংলাদেশ যখন মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে, সেই উঁচু মাথা নিচু হতে দিবো না।


অপরদিকে আরেকটি পক্ষ বলছে শেখ হাসিনাকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় রেখে বাংলাদেশে কোনো নির্বাচন হতে দেব না। যখনই নির্বাচন আসে একটি পক্ষ নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করতে চায়। বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার কেশরহাট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত নির্বাচনী জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।


আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, শেখ হাসিনা বলেছিলেন, আমরা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় গেলে কৃষকদের সার আর বীজের জন্য জমির দলিল জমা দিতে হবে না। শেখ হাসিনা কৃষকদের কাছে সেই কথা রেখেছেন। শেখ হাসিনা বাংলাদেশের অভিভাবক সমাজের কাছে প্রত্যয় ব্যক্ত করে উচ্চারণ করেছিলেন, আমি শেখ হাসিনা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় গেলে কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্ত্রের ঝনঝনানি হবে না। অস্ত্রের ঝনঝনানিতে শিক্ষক মরে, ছাত্র মরে, সেশনজট তৈরি হয়, বাংলাদেশের শিক্ষাঙ্গনকে নিরাপদ করবো। শেখ হাসিনা সেই কথা অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছে। আমি বিশ্বাস করি, আপনারা সেই সত্যের সাথে দলমত নির্বিশেষে সবাই একমত পোষণ করবেন। শেখ হাসিনা বলেছিলেন, আমি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় গেলে বিদ্যুতের জন্য মানুষকে হাহাকার করতে হবে না, শেখ হাসিনা নিশ্চয়ই তার কথা রেখেছেন।


তিনি আরও বলেন, আমরা বলছি নির্বাচনের কথা, আমরা বলছি জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনের কথা, আমরা বলছি এই অঞ্চলের মানুষের উন্নয়ন আর সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাওয়ার কথা, আরেকটি পক্ষ মানুষকে বিভ্রান্ত করতে চায়। ওরা বলতে চায় বাংলাদেশের মাটিতে শেখ হাসিনাকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থাকতে দিবে না। ওরা কখনও হরতাল, কখনও অবরোধ, কখনওবা অসহযোগের নামে বাস-ট্রাকে আগুন দিয়ে মানুষের জীবনহানি ঘটিয়ে নিজেদের স্বার্থ হাসিলে অটল।

রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদ বলেন, শেখ হাসিনা আন্দোলন-সংগ্রামের বাঁকে বাঁকে মানুষের দাবি পূরণের জন্য যখনই রাজপথে থেকে লড়াই-সংগ্রাম করেছে, একবার নয়, দুই বার নয়, ২০ বার জীবন ও মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে হাজার হাজার নেতাকর্মীর জীবনের বিনিময়ে শেখ হাসিনার জীবন রক্ষা পেয়েছে। সেই শেখ হাসিনা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় যখন, তখন আবার নতুন স্লোগান উঠেছে বাংলাদেশে ভোট হতে দেব না। সেই আন্দোলন যখন মাটিচাপা পড়েছে, আন্দোলনের কবর হয়েছে, তখন গুটি কয়েক মানুষ লিফলেট হাতে ভোট বর্জনের আহ্বান করছে। ওরা তো জনগণের পক্ষে কথা বলে নি, ওরা বলছে নিজেদের কথা।


নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আসাদ বলেন, এই বাংলাদেশের মাদ্রাসার শিক্ষকদের কি অবস্থা ছিল? আজকে বাংলাদেশের প্রায় দুই হাজার মাদ্রাসার নতুন ভবন তৈরি হয়েছে। পৃথিবীর কোন মুসলিম দেশ এক সঙ্গে ৫৬০টি মডেল মসজিদ তৈরি করে দিতে পেরেছে? এটি শুধু শেখ হাসিনার সরকারই বাংলাদেশের মানুষকে উপহার দিতে পেরেছে। এশিয়ার মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একমাত্র রাষ্ট্রনায়ক বাংলাদেশে আরবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছে। এইসব বিবেচনা করে আপনাদের বিবেকের রায়টি নৌকায় চাই।


কেশরহাট পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহেদুজ্জামান মুক্তার সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন মোহনপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজ উদ্দিন কবিরাজ, মোহনপুর উপজেলা নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সমন্বয়ক এনামুল হক, কেশরহাট পৌর নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক আশরাফুল ইসলাম সুলতান, কেশরহাট পৌরসভার মেয়র শহিদুজ্জামান শহিদ, মোহনপুর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মেহেবুব হাসান রাসেল, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আলফোর রহমান, মোহনপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি রুস্তম আলী প্রাং।

কেশরহাট পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ও কেশরহাট পৌর নির্বাচন পরিচালনা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক জমশেদ আলীর যৌথ সঞ্চালনায় সভায় মোহনপুর উপজেলার বিভিন্ন পর্যায়ের আওয়ামী লীগ ও সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।



  • সম্পাদক ও প্রকাশক: ইঞ্জিনিয়ার মো: রায়হানুল ইসলাম

  • উপদেষ্টাঃ মোঃ ইব্রাহীম হায়দার