অপরাধ দমনে মহাসড়কে ১৬৯ সিসি ক্যামেরা


, আপডেট করা হয়েছে : 01-01-2024

অপরাধ দমনে মহাসড়কে ১৬৯ সিসি ক্যামেরা

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি, সড়ক দুর্ঘটনাসহ নানা অপরাধ দমনে বসানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা। গাড়ির নম্বর প্লেট, চালকের ছবি, গাড়ির গতি নির্ধারণ, দুর্ঘটনার চিত্র ধরার লক্ষ্যে স্থাপিত হয়েছে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন এসব ক্যামেরা। কুমিল্লা সীমান্ত ফেনীর দত্তসাহ থেকে ধুমঘাট সেতু পর্যন্ত ২৫ কিলোমিটারের ফেনী অংশে দুটি চেক পয়েন্টে দুটি ক্যামেরা, ৫৮টি সাইড পিলারে ৫৬টি ভিডিও ড্রোন ক্যামেরা, বিটিজেডের ১১১টি বুলেট ক্যামেরাসহ মোট ১৬৯টি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। বিদ্যুৎ চলে গেলেও ছয় ঘণ্টা সচল থাকবে ক্যামেরাগুলো। ঘনকুয়াশা, ঝড়-বৃষ্টিতেও একই ধরনের স্বচ্ছ ফুটেজ পাওয়া যাবে। এতে সুফল পাবেন সড়কে চলাচলরত যানবাহনের চালক, যাত্রী। বাসচালক মোজাম্মেল বলেন, এতদিন সিসি ক্যামেরা না থাকায় আমরা অনেকে অতিরিক্ত গতিতে গাড়ি চালিয়েছি। সিসি ক্যামরা থাকায় আমাদের ভয় থাকবে। কোনো একটা দুর্ঘটনা হলে বোঝা যাবে গাড়ির স্পিড কত ছিল। আরেক চালক শাহরিয়ার বলেন, সিসি ক্যামেরা চালু হলে আমাদের জন্য হবে। আমি মনে করি, সব সড়কে সিসি ক্যামেরা স্থাপন জরুরি। হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা অঞ্চলের পুলিশ সুপার খায়রুল আলম বলেন, রাতে হাইওয়েতে যে কোনো ধরনের অপরাধ ঘটলে সেগুলোর প্রামাণ্যচিত্র পাওয়া যাবে। অপরাধীদের দ্রুত শনাক্ত করা সম্ভব হবে। ফলে সড়কে শৃঙ্খলা ফেরবে। তিনি বলেন- হাইওয়েতে যত ধরনের অপরাধ ঘটবে সেগুলোর প্রমাণ সরাসরি পাওয়া যাবে। ফলে চুরি-ডাকাতি অনেকাংশে কমে যাবে। রাতের আঁধারে কোনো অজ্ঞাত গাড়ি কাউকে আঘাত করে চলে গেলে গাড়ির নম্বর প্লেটসহ চালকের ছবি, কোন পরিবহন সব ধরা পড়বে। ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত মোট ছয়টি পয়েন্টে মনিটরিং করা হবে ক্যামেরাগুলো। মনিটরিংয়ের স্থানগুলো হলো- বার আউলিয়ার, কুমিল্লা এসপি অফিস, দাউদকান্দি থানা, মেঘনা টোলপ্লাজা, গাজীপুর এসপি অফিস ও উত্তরা হেড কোয়াটার।



  • সম্পাদক ও প্রকাশক: ইঞ্জিনিয়ার মো: রায়হানুল ইসলাম

  • উপদেষ্টাঃ মোঃ ইব্রাহীম হায়দার