রাজশাহী-২ (সদর) আসনে পরিবর্তন ও আস্থার প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে ‘কাঁচি’। একারণেই সর্বত্রই গণজোয়ার তৈরি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন কাঁচি প্রতীকের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ রাজশাহী মহানগরের সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা।
নগরীতে গণসংযোগকালে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের উত্তরে একথা বলেন তিনি।
অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা বলেন, রাজশাহীর মানুষ জনবিচ্ছিন্ন নেতৃত্ব চাই না। একারণেই পরিবর্তন অবধারিত। এটা বুঝতে পেরেই জনগণ থেকে বিতাড়িত হয়ে ষড়যন্ত্র করা হচেছ। বলা হচ্ছে, ভোটের আগে প্রধানমন্ত্রী কাঁচি প্রতীককে নির্বাচন থেকে সরে যেতে বলবেন। এসব গুজব ছড়িয়ে বিভ্রান্তি তৈরি করা হচ্ছে। জনসমর্থন হারিয়ে গুজবে ভর করে এমপি হওয়া যাবে না।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ রাজশাহী মহানগরের সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচন নিয়ে এরইমধ্যে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এবারের নির্বাচনের জাতীয় ও আন্তজার্তিক পেক্ষাপট ভিন্ন। এবারের নির্বাচন যে কোন মূল্যে সুষ্ঠু, প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ও অংশগ্রহণমূলক হতে হবে। যার যার জনপ্রিয়তা নিয়ে বিজয়ী হতে হবে। আর রাজশাহীতে কাঁচি প্রতীক নির্বাচনে না আসলে নির্বাচন কখনোই অংশগ্রহণমূলক ও প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হতো না। আর আগামী ৭ জানুয়ারির দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার মধ্য দিয়ে জনসমর্থন নিয়েই বিপুল ভোটে ‘কাঁচি’ প্রতীকের জয় হবে।
কাঁচি প্রতীকের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা বলেন, মানুষ উন্নয়ন চাই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সারাদেশে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। রাসিক মেয়র আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে রাজশাহীকে সাজিয়ে তুলছেন। কিন্তু এই আসনে বিগত দিনে যিনি সংসদে প্রতিনিধিত্ব করেছেন, তিনি উন্নয়নের সহযোগী না হয়ে কোটারি রাজনীতি করেছেন। একারণেই সাধারণ মানুষ তার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। পাড়া-মহল্লায় কাঁচি প্রতীকের বিজয়ের প্রশ্নে মানুষ আজ ঐক্যবদ্ধ। আওয়ামী লীগ, অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা ঐক্যবদ্ধ। সুতরাং গুজবে ভর করে বিজয়কে রুখে দেয়া যাবে না।
এদিন সকাল থেকে শুরু করে গভীর রাত পর্যন্ত নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ডে গণসংযোগ, প্রচার মিছিল ও মহিলা সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিটি জায়গায় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী, সমর্থকসহ সাধারণ ভোটারদেরও ব্যাপক উপস্থিতি দেখা যায়।
গণসংযোগে উপস্থিত ছিলেন, মহানগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মুজিবর রহমান, সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল, মতিহার থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. আব্দুল মান্নান, ৩০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও মতিহার থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আলাউদ্দিন, ৩০ নম্বর ওয়ার্ড (উত্তর) সভাপতি মো. রাব্বিল হোসেন, মহানগর যুবলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নাহিদ আক্তার নাহান, ৩০ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি মো. শামিম মন্ডল, ২৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী মাসুম, রানীনগর (দক্ষিণ) আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. সারোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন মিঠু, রাজশাহী ওয়াসা শ্রমিক লীগের সভাপতি মো. আশরাফ আলী, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হোসেন লালা, ২৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. আরমান আলী, হড়গ্রাম বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক শেখ জাকির হোসেনসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।