বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু মানদণ্ড অনুযায়ী হয়নি বলে মনে করছে যুক্তরাজ্য। নির্বাচনে সব দল অংশ না নেওয়ায় মানুষের ভোট দেওয়ার যথেষ্ট বিকল্প ছিল না বলেও জানিয়েছে দেশটি।
স্থানীয় সময় সোমবার (৮ জানুয়ারি) যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে দেশটির মত প্রকাশ করেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গণতান্ত্রিক নির্বাচন নির্ভর করে গ্রহণযোগ্য, অবাধ ও সুষ্ঠু প্রতিদ্বন্দ্বিতার ওপর। মানবাধিকার, আইনের শাসন ও যথাযথ প্রক্রিয়ার প্রতি শ্রদ্ধা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার অপরিহার্য উপাদান। নির্বাচনের সময় এসব মানদণ্ড যথাযথভাবে মানা হয়নি। এছাড়া নির্বাচনে সব দল নির্বাচনে অংশ নেয়নি বলে বাংলাদেশের মানুষের ভোট দেওয়ার যথেষ্ট বিকল্প ব্যবস্থা ছিল না।
ভোটের আগে বিরোধী দলের উল্লেখযোগ্যসংখ্যক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করার ঘটনায় উদ্বেগ বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নির্বাচন সামনে রেখে এবং নির্বাচনের প্রচার চলাকালে সহিংসতা ও ভয়ভীতি দেখানোর কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানায় যুক্তরাজ্য। রাজনীতিতে এ ধরনের কর্মকাণ্ডের কোনো জায়গায় নেই।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের ঐতিহাসিক ও গভীর বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। বাংলাদেশে একটি টেকসই রাজনৈতিক সমঝোতা ও সুশীল সমাজের জন্য অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি হলে দীর্ঘ মেয়াদে দেশের প্রবৃদ্ধি অর্জন সম্ভব হবে।
এছাড়া বাংলাদেশে সব রাজনৈতিক দলের প্রতি মতভিন্নতা দূর করার আহ্বান জানায় যুক্তরাজ্য।
এর আগে নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি বলেও বিবৃতি দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। একইসঙ্গে নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ ছিল না বলেও ভাষ্য ওয়াশিংটনের।