মন্ত্রিসভায় থাকবে অনেক নতুন মুখ


, আপডেট করা হয়েছে : 10-01-2024

মন্ত্রিসভায় থাকবে অনেক নতুন মুখ

নতুন মন্ত্রিসভায় কারা থাকছেন আর কারা বাদ পড়ছেন, তা নিয়ে জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়ে গেছে। ইতোমধ্যে অনেককে ‘নিশ্চিত মন্ত্রী’ ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অভিনন্দনও জানানো হচ্ছে। তবে আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নেতারা বলছেন, নতুন মন্ত্রিসভায় কারা জায়গা পাবেন, সেটা শুধু দলের সভাপতি ও সরকারপ্রধান শেখ হাসিনাই জানেন।


নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের একাধিক নেতা শুধু এতটুকু নিশ্চিত করেছেন যে, নতুন মন্ত্রিসভায় একঝাঁক নতুন মুখ আসতে যাচ্ছে। আর আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা যে পঞ্চমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন, এ নিয়েও কোনো সংশয় নেই।


সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মন্ত্রিপরিষদ সচিব মহোদয়কে একাধিকবার ডেকে নিয়ে বৈঠক করেছেন। অনেকে অনুমান করছেন, নতুন মন্ত্রিসভাসংক্রান্ত বিষয় নিয়ে তিনি কথা বলেছেন। ইতোমধ্যে সদস্যদের নামও চূড়ান্ত হয়ে গেছে। কোনো কোনো এমপিকে ডেকে নিয়ে মন্ত্রিসভায় নেওয়ার বিষয়ও জানিয়ে দিয়েছেন শেখ হাসিনা।


নতুন মন্ত্রিসভার বিষয়ে গতকাল সাংবাদিকরা মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেনকে প্রশ্ন করেন। তিনি বলেন, ‘বুধবার (আজ) নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা শপথ নেবেন। সেই হিসেবে আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। আর ১১ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় মন্ত্রিসভার শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছি আমরা।’


মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, ‘ঐতিহ্যগতভাবে শপথ অনুষ্ঠান বঙ্গভবনে হয়; এ বছরও তাই হবে।’ নতুন মন্ত্রিসভার শপথ অনুষ্ঠানে ১৩০০ থেকে ১৪০০ জনকে দাওয়াত দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।


বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি প্রথমে প্রধানমন্ত্রীকে শপথ বাক্য পাঠ করাবেন। এরপর মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীদের শপথ বাক্য পাঠ করাবেন। শপথের পর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে দপ্তর বণ্টন করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। নতুন মন্ত্রিসভা শপথ নিলে তারাই হবে দেশের নতুন সরকার। শপথ নেওয়া পর্যন্ত আগের মন্ত্রিসভা বহাল থাকবে।


মন্ত্রিসভা গঠন প্রসঙ্গে সংবিধানের ৫৬ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, মন্ত্রিসভায় একজন প্রধানমন্ত্রী থাকবেন, যিনি সংসদ সদস্য, সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের আস্থাভাজন বলে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রতীয়মান হবেন, রাষ্ট্রপতি তাকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দেবেন। প্রধানমন্ত্রী যেভাবে নির্ধারণ করবেন, সেভাবে অন্যান্য মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রী থাকবেন। প্রধানমন্ত্রী, অন্যান্য মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীকে রাষ্ট্রপতি নিয়োগ দিয়ে থাকেন।


এদিকে নতুন মন্ত্রিসভার সদস্য হিসেবে যেসব নাম ভেসে বেড়াচ্ছে এর মধ্যে রয়েছেন- ১৪ দলের অন্যতম সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সবুর, দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মোহাম্মদ এ আরাফাত এবং দলের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মাশরাফি বিন মোর্ত্তজা। নতুন মন্ত্রিসভার সদস্য হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ, পিএসসির সাবেক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ সাদিক ও সাবেক সিনিয়র সচিব সাজ্জাদুল হাসানের নামও শোনা যাচ্ছে।


আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এবং পানিসম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম নতুন মন্ত্রিসভায় যুক্ত হতে পারেন। অন্যদিকে বিভিন্ন সময়ে নানা ইস্যুতে বিতর্কিত কর্মকাণ্ড করে এবং বক্তব্য দিয়ে যারা দলকে বিব্রত অবস্থায় ফেলেছেন, তারা মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়তে পারেন। সে সংখ্যাটিও একেবারে কম নয় বলে জানা গেছে।


গতকাল বিকালে দ্বাদশ জাতীয় সংসদে নির্বাচিতদের ফল গেজেট আকারে প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশনের পরিচালক (জনসংযোগ) মো. শরিফুল ইসলাম গণমাধ্যমের কাছে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।


গেজেট প্রকাশ নিয়ে ইসি আলমগীর বলেন, ৩০০ সংসদীয় আসনের মধ্যে নওগাঁ-২ আসনের প্রার্থী মৃত্যুবরণ করায় নির্বাচন বাতিল করা হয়েছে। ওই আসনে ১৩ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন হবে। আর ময়মনসিংহের একটি কেন্দ্রে ফলাফল স্থগিত রাখা হয়েছে। সেই নির্বাচনও হবে ১৩ জানুয়ারি।



  • সম্পাদক ও প্রকাশক: ইঞ্জিনিয়ার মো: রায়হানুল ইসলাম

  • উপদেষ্টাঃ মোঃ ইব্রাহীম হায়দার