নিয়োগ পরীক্ষার ৪০ বছর পর মিলল যোগদানের চিঠি!


, আপডেট করা হয়েছে : 20-01-2024

নিয়োগ পরীক্ষার ৪০ বছর পর মিলল যোগদানের চিঠি!

প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরির জন্য আশির দশকে নিয়োগ পরীক্ষা দিয়েছিলেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার ৬৬ জন চাকরিপ্রার্থী। বহু কাঠ-খড় পোড়ানোর পর অবশেষে বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) এসেছে বহুলপ্রতীক্ষিত সেই চাকরির চিঠি। দীনবন্ধু ভট্টাচার্য তাদেরই একজন। তার বয়স এখন ৬৪। খবর বিবিসি বাংলার




যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও নিয়োগ পাননি এমন অভিযোগে মামলা করেন তারা। কিন্তু সুরাহা হয়নি। অবশেষে কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের পর নিয়োগের চিঠি পেয়েছেন তারা। কিন্তু এর মাঝে কেটে গেছে ৪০ বছর। শুধু দীনবন্ধুই নন, এমন আরও ৬৫ জন ভুক্তভোগী দীর্ঘ লড়াইয়ের পর নিয়োগের চিঠি পেয়েছেন। তারা সবাই এখন অবসরের বয়সসীমা পার করেছেন।



নিয়োগের চিঠি হাতে পেয়ে কী করতে হবে প্রথমে বুঝতেই পারেননি দীনবন্ধু। গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘প্রাথমিক শিক্ষকের জন্য যখন পরীক্ষা দিয়েছিলাম তখন আমি যুবক। সদ্য প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষক। চাকরির জন্য অপেক্ষা করতে করতে এখন আমার বয়স ৬৪। গতকাল (বৃহস্পতিবার) হাতে অ্যাপয়েন্টমেন্টের চিঠি পেয়েছি। আমি একা নই, আমার মতো আরও ৬৫ জন এই চিঠি পেয়েছে। এর মধ্যে চারজন তো বেঁচেই নেই।’

 


প্রসঙ্গত, নিয়োগ সংক্রান্ত এই মামলাটি করার সময় পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতায় ছিল বামেরা। বর্তমানে তৃণমূল ক্ষমতায় রয়েছে। গত কয়েক বছরে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে খবরের শিরোনামে রয়েছে এই রাজ্য। নিয়োগের দাবিতে রাস্তায় বসে আন্দোলনও করছেন নবম-দশম এবং একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির চাকরিপ্রার্থীরা।


জানা যায়, ১৯৮৩ সালে জুনিয়র বেসিক ট্রেনিং দেয়া হতো। ওই বছর রাজ্যজুড়ে যে নিয়োগ হয় তাতে কেউ নিয়োগ পেয়েছেন, কেউবা পাননি। সে সময় নিয়ম ছিল ৬০ শতাংশ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষক নেয়া হবে। অন্যদিকে মামলাকারীদের দাবি ছিল, যারা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত তাদের সবাইকে প্রাথমিক শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ করতে হবে। এই দাবি জানিয়ে তারা আদালতের দ্বারস্থ হন।


৩০ বছর পর ২০১৪ সালে ওই মামলার রায় হয়। তবে সেটা রাজ্য সরকার মেনে না নিয়ে আপিল করলে অবশেষে ২০ ডিসেম্বর হাইকোর্ট চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগের নির্দেশ দেন। কিন্তু রাজ্য সরকারের তরফে আদালতকে জানানোই হয়নি আবেদনকারীদের বয়সসীমা ৬০ অতিক্রম করেছে এবং তাদের মধ্যে চারজন বেঁচে নেই।


  • সম্পাদক ও প্রকাশক: ইঞ্জিনিয়ার মো: রায়হানুল ইসলাম

  • উপদেষ্টাঃ মোঃ ইব্রাহীম হায়দার