রাবিতে কমল খাবারের দাম


, আপডেট করা হয়েছে : 22-01-2024

রাবিতে কমল খাবারের দাম

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভেতরে থাকা দোকানগুলোর খাবারের দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গতকাল রবিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, শিক্ষার্থী ও দোকানিদের যৌথ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।


সোমবার তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক। তিনি বলেন, ‌‘ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে বিভিন্ন দোকানে খাবারের দাম বৃদ্ধির অভিযোগে শিক্ষার্থীসহ দোকানিদের সঙ্গে আমরা বসেছিলাম। আলোচনার মাধ্যমে সামঞ্জস্যপূর্ণ একটি মূল্য তালিকা তৈরির সিদ্ধান্ত হয়েছে।’


সভা সূত্রে জানা গেছে, ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে সব দোকানে একই দামে খাবার বিক্রি হবে। সে ক্ষেত্রে খাবারের মান যথাযথ ঠিক হবে। নতুন মূল্য তালিকা হিসেবে ভাত (প্রতি প্লেট) ১২ টাকা, খিচুড়ি ২০ টাকা, ডিম (ভাজি ও রান্না) ১৫ টাকা, মুরগি বয়লার (২ পিচ) ৩০ টাকা, মুরগি সোনালী ৭০ টাকা, রুই-কাতল মাছ (প্রতি পিচ) ৩০ টাকা, গরু ১০০ টাকা। এ ছাড়া সিঙ্গারা, পুরি, পিঁয়াজু, চপ ও পরটা ৬ টাকা এবং দুধ চা ১০ টাকা, লাল চা ৫ টাকা মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে।


সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম সাউদ, জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক প্রদীপ কুমার পাণ্ডেসহ স্টেট দপ্তরের কর্মকর্তা, দোকানদার এবং ক্যাম্পাসের ক্রিয়াশীল বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।


দাম কমানোর ব্যাপারে ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম সাউদ বলেন, ‘ক্যাম্পাসে দোকানদারদের যেন কোনো ঘাটতি না হয় এবং শিক্ষার্থীরাও যাতে সন্তুষ্ট থাকে, সেই দিক খেয়াল রেখেই খাবারের একটি মূল্য তালিকা তৈরির সিদ্ধান্ত হয়েছে। এতে উভয়েই উপকৃত হবে বলে আমি বিশ্বাস করি। তবে কিছু দিন পর যদি খাবারের মান কমে যাওয়ার অভিযোগ ওঠে, সে ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট দোকানির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’


এর আগে ক্যাম্পাসের দোকানগুলোতে নিজেদের মতো দাম বৃদ্ধির অভিযোগ তুলে দোকানিদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান শিক্ষার্থীরা। তখন খাবারের দাম কমিয়ে মান বৃদ্ধির দাবি তোলেন তারা। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ ছিল, দ্রব্যমূল্যের ওপর নির্ভর করে প্রশাসন বিভিন্ন সময় মূল্য তালিকা তৈরি করে দিলেও সেটা যথাযথ মানেনি অনেক দোকানি।



  • সম্পাদক ও প্রকাশক: ইঞ্জিনিয়ার মো: রায়হানুল ইসলাম

  • উপদেষ্টাঃ মোঃ ইব্রাহীম হায়দার