প্রায় দুই যুগ পর অবশেষে আধুনিকতার ছোঁয়া পাচ্ছে ভোলার বিসিক শিল্পনগরী। এরই ধারাবাহিকতায় বিসিকে দেওয়া হচ্ছে গ্যাসের সংযোগ। আজ শুক্রবার গ্যাস সংযোগের ভিত্তি স্থাপন করবেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন। এর ফলে আশান্বিত শিল্প উদ্যোক্তারা, নতুন করে স্বপ্ন দেখছেন দ্বীপজেলার বাসিন্দারা।
গ্যাস সংযোগ বাস্তবায়ন হলে অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি পূর্ণতা পাবে বিসিকের কারখানাগুলো। কর্মসংস্থান হবে বেকার যুবকদের। এতে উন্নয়নের পথে আরেক ধাপ এগিয়ে যাবে ভোলা।
সূত্র জানায়, ১৯৯৩ জমি অধিগ্রহণের পর ২০০০ সালের দিকে ভোলা শহরের চরনোয়াবাদ চৌমুহন সংলগ্ন ১৪.৪৫ একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) শিল্পনগরীর যাত্রা শুরু হয়। এরপর বিভিন্ন সময় সেখানকার ৯৩ প্লটের মধ্যে ৮৯টি বরাদ্দ হয়। এসব প্লটে ৫০টির বেশি কারখানা চালু হয়। কিন্তু শুরুতেই গ্যাসের অভাবে দারুণভাবে ব্যাহত হয় কারখানাগুলোর উৎপাদন। অতিরিক্ত খরচ আর লোকসানের মুখে কোনো রকম জোড়াতালি দিয়ে চলছে অনেক প্রতিষ্ঠান। কয়েকটি কারাখানা বন্ধও হয়ে গেছে এরই মধ্যে। তবে শুরু থেকেই দাবি ওঠে, গ্যাস সংযোগের। এমন বাস্তবতায় ভোলার বিসিক শিল্পনগরীতে গ্যাসের সংযোগ চালু হতে যাচ্ছে। এতে
করে নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন শিল্প উদ্যোক্তারা। তাদের আশা, গ্যাসের সংযোগ পেলে উৎপাদন বাড়বে। সেই সঙ্গে কর্মসংস্থান বাড়ার পাশাপাশি অর্থনৈতিকভাবে ঘুরে দাঁড়াবেন তারা।
শিল্প উদ্যোক্তা সরদার পাইপ কারখানার মালিক বাবুল সরদার বলেন, গ্যাস সংযোগ পেলে আমাদের কারখানা আরও সমৃদ্ধ হবে। জ্বালানি খরচ কমে যাবে। এতে উৎপাদন বাড়বে।
জামাল খান নামে আরেক উদ্যোক্তা বলেন, গ্যাস সংযোগ দেওয়া হলে এখানে আমরা একটি মুড়ির কারখানা স্থাপনের চিন্তা করছি।
নাহিয়ান ফুডসের পরিচালক মো. রাসেল, ইশাশ ফ্যাক্টরির পরিচালক মো. মাকসুদুর রহমানসহ আরও একাধিক উদ্যোক্তা জানান, তারা দীর্ঘ সময় ধরে অপেক্ষায় ছিলেন কখন এখানে গ্যাসের সংযোগ দেওয়া হবে। এ সংযোগ হলে ব্যবসার পরিধি বৃদ্ধির পাশাপাশি বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানেরও সুযোগ সৃষ্টি হবে।
বিসিকের উপ-ব্যবস্থাপক এসএম সোহাগ হোসেন বলেন, গ্যাস সংযোগ চালু হলে পাল্টে যাবে বিসিকের চিত্র। এখানকার অর্থনৈতিক উন্নয়ন হবে, যা দেশের অর্থনীতিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করবে।
এ ব্যাপারে ভোলার জেলা প্রশাসক আরিফুজ্জামান বলেন, বিসিকের উন্নয়নে কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি দেশের অন্যতম শিল্পায়নের জেলায় পরিণত হবে ভোলা। এর ফলে জেলার উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে।